• মমতার পর এবার বিজয়ন, মোদী সরকারের বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে ধর্না কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • মৌমিতা চক্রবর্তী: রাজ্যের বিভিন্ন পাওনাগন্ডা না মেটানোয় কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত দফতর আগেই ধর্না দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই বকেয়া আদায়ের দাবি রেড রোডে ধর্নায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবার দিল্লিতে ধর্নায় বসছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

    আাগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ধর্না দেবেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে থাকবেন তাঁর দলের বিধায়ক ও সাংসদরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রীও। কেরালার অভিযোগ, রাজ্যে বিজেপির সরকার নয়। তাই কেন্দ্রের তরফে যে বরাদ্দ দেওয়ার কথা তার যদি শতাংশের হিসেবে করা যায় তাহলে ১ শতাংশেরও নীচে তাঁরা ফান্ড পেয়েছেন। সেই জায়গায় উত্তর প্রদেশ ও বিহারের মতো রাজ্য যথাক্রমে ১৮.২ শতাংশ ও ১০.৬ শতাংশ ফান্ড পেয়ে গিয়েছেন। প্রায় একই অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পিনারাই বিজয়ন তাঁর ধর্না কর্মসূচি করছেন ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। তিনি তাঁর বিধায়ক ও সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন যন্তরমন্তরে ধর্নায় যোগ দিতে। সূত্রের খবর, পিনারাই বিজয়নের তরফে ইতিমধ্যেই এনিয়ে চিঠি গিয়েছে সব অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে। সেক্ষেত্রে কোন কোনও মুখ্যমন্ত্রী ওই চিঠি পেলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।এনিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ওই তো তৃণমূল-সিপিএম ভাইভাই। কেন্দ্রের টাকা কোনও হিসেব না দেওয়া, ক্যাগকে ফেস না করা, তার জন্য যে অব্যবস্থা তৈরি হয়েছে তার জন্য তৃণমূল ধর্না দিচ্ছে আম্বদকরের পাশে। আম্বদকর তো কাঁদছেন! এবার দিল্লিতে যাচ্ছে কেরালা। আমরা বারবার বলে যাচ্ছি এরা বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছেন। ওঁদের যদি কথার কোনও সারবত্তা থাকে তাহলে আদালত রয়েছে।পিনারাই বিজয়নের ধর্না নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার ঘোষণার আগে থেকেই বিয়য়ন ধর্নার ঘোষণা করেছেন। আমাদের উদ্দেশ্যই হল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষা করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সিএম টু ডিএম বলতেন তখনও আমারা একই কথা বলতাম। যে যার মতো আন্দোলন করছেন।  একশো দিনের টাকা যদি রাজ্যের প্রাপ্য হয় তাহলে তার জন্য আইনের পথ খোলা রয়েছে।ওই ধর্না নিয়ে তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, গত ২ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে আসছেন রাজ্যের পাওনা থেকে রাজ্যকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। একশো দিনের টাকা, আবাস যোজানার টাকা আটকে রাখা হয়েছে।  আমরা যখন ওই কথা বলেছিলাম তখন বঙ্গ সিপিএম ও বঙ্গ কংগ্রেস বিজেপির দালালি করতে এতটাই ব্যাস্ত ছিল যে এরা বারবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছিল। মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীর কাছে জানতে ইচ্ছে করে, এরাজ্য নাকি দুর্নীতি হয়েছে বলে টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তাহলে কেরালার বিয়য়ন সরকারও কি দুর্নীতি করেছে বলেই কি তার টাকাও আটকে রাখা হয়েছে? এরা যত বেশ বিজেপির তাঁবেদারি করেছে ততবেশি মানুষের কাছে নগ্ন হয়ে গিয়েছে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)