বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে রান্না ভাতের সঙ্গে সেদ্ধ হল সাবান, বেপাত্তা রাঁধুনি, তুমুল ক্ষোভ পড়ুয়াদের
২৪ ঘন্টা | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অরূপ লাহা: রান্না চলছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ হস্টেলে। ভাতের ফেনা কেমন যেন সাবানের ফেনা বলেই মনে হচ্ছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই পড়ুয়ারা তা জানান রাঁধুনিকে। ছাত্রদের অভিযোগ, রাঁধুনি সবটুকু জেনে বলে দেন, এই খাবার না খাওয়াই ভালো। ওই কথা বলেই বেপাত্তা রাঁধুনি। শেষপর্যন্ত দেখা যায় ভারেতর সঙ্গে সেদ্ধ হয়েছে সাবান। এনিয়ে তোলপাড় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ হোস্টল। খাবার না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ১১০ জন পড়ুয়া।
ছাত্রদের অভিযোগ, রান্নার জন্য একজন কুক ও একজন হেল্পার ঠিক করা থাকলেও রান্নার সময় একজনের বেশি আসে না। তারা নিজেদের মতো ঠিক করে নেয় কে কবে রান্না করতে আসবে। ফলে রান্নার মান খারাপ হয়। বিষয়টি একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনও ফল হয়নি। রবিবার ভাতে সাবান পাওয়ার পর বিষয়টি ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক আধিকারিককে জানালেও দুপুর বারোটা পর্যন্ত খাবারের কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ ছাত্রদের। পরে হস্টেলের প্লেসমেন্ট অফিসার হস্টেলে এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্ররা।প্লেসমেন্ট অফিসার বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। বিষয়টি জানানোও হয়েছে উপরতলায়। তারা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবেন। অন্যদিকে, রাঁধুনি জানান, ভারত ছাঁকার সময়ে সাবান দেখতে পেয়ে আমি তা ছাত্রদের জানিয়েছিলাম। তবে ফের রান্না না করে চলে যাওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করে নেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া বলেন, সকাল সাড়ে নটা থেকে খাবার দেওয়া হয়। ডে ম্যানেজার খাবার দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেইসময় সেখানে রাঁধুনিও ছিলেন। উনি যখন ভাত ছাঁকছিলেন তখন দেখেন ভাতের মধ্যে থেকে একটি থালা বাসন মাজার সাবান। অর্থাত্ ভাতে চলা দেওয়ার সময়ে ঠিক করে দেখাই হয়নি। ভাতের ফ্য়ানে ফেনায় ভর্তি। রাঁধুনি এসব দেখে চলে গেলেন। এতগুলো ছেলে কী খাবে তার কোনও ব্যবস্থাই তিনি করলেন না। গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলপ এঁটেছেন হস্টেল কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের দাবি, হস্টেলে বহু সমস্যা রয়েছে। তার সমাধানের কোনও ব্যবস্থা হয়নি। তার পরে এই কাণ্ড।