আজকাল ওয়েবডেস্ক: হেমন্ত সোরেন গ্রেপ্তার হওয়ার পর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন চম্পাই সোরেন। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেও, আগেই জানানো হয়েছিল তাঁকে বিধানসভায় প্রমাণ করতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা। আশঙ্কা ছিল বিধায়ক কেনা, অপারেশন লোটাস নিয়েও। সেই আশঙ্কা থেকেই শাসক জোটের বিধায়কদের রাতারাতি হায়দরাবাদ পাঠানো হয়েছিল। আস্থা ভোটে অংশ নিতে রবিবার রাতে তাঁরা ফেরেন রাঁচীতে। সোমবার আস্থা ভোট হয় ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়। হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। ভোট শেষে দেখা গেল, ভরসা রইল সেই সোরেনেই। চম্পাইয়ের পক্ষে গেল ৪৭ ভোট। ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪১। ভোট শেষে দেখা গেল, ম্যাজিক ফিগারের থেকে বেশি সংখ্যক বিধায়কদের ভোট এল নতুন সোরেনের ঝুলিতে। জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের ৪৭ বিধায়ক রয়েছেন তাঁর সমর্থনে। বিপক্ষে ২৯ বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই আস্থাভোটের মুখোমুখি হয়া চম্পাইয়ের জন্য লিটমাস টেস্ট বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। বেলা গড়াতে দেখা গেল, সেই টেস্ট অনায়াসে জিতে গেলেন চম্পাই। হেমন্তের পর ঝাড়খণ্ডের শাসন ভার রইল তাঁর হাতেই। উল্লেখ্য, আস্থাভোটের আগে বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজেকে দ্বিতীয় হেমন্ত বলে দাবি করেন চম্পাই সোরেন।