• রোজ খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সবাইকে ঘুম পাড়াত, তারপর? পরিচারিকার ভয়াবহ কীর্তি
    আজ তক | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় এক পরিচারিকার কাজ জেনে হতবাক পরিবারের সদস্যরা। বাড়ির খাবারে নেশা মেশাতো কাজের মেয়ে। খাবার খেয়ে মালকিন ও শিশুরা গভীর ঘুমে তলিয়ে যেত। এর পর দাসী তার খেলা শুরু করে। আসলে, কাজের মেয়ে রান্নাঘরের খাবার চুরি করত। কিন্তু রান্নাঘরে স্থাপিত সিসিটিভিতে তার ঘুমের ওষুধ দেওয়া ও চুরির ঘটনা প্রকাশ পায়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে নির্যাতিতার পরিবার। বিষয়টি তাজগঞ্জ থানা এলাকার নালন্দা টাউনের।

    প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বলদীপ সিং ভাটিয়া একটি জিমের মালিক। তার স্ত্রী কমলজিৎ কৌর তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন। ২০১৭ সালে কাজের মেয়ে মঞ্জুর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। ২০১৭ সালে মঞ্জুর সন্তানদের স্বাস্থ্য ভালো ছিল না। এরপর তাকে আর্থিক সাহায্যও করেন। এর পর সে কাজ ছেড়ে দেয়। তবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে আবার কাজ চাইতে আসেন মঞ্জু। এরপর পরিবারের সদস্যরা আড়াই হাজার টাকায় মঞ্জুকে খাবার রান্নার জন্য ভাড়া করে। বাড়িতে আগে থেকেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হলেও সংস্কারের কারণে ক্যামেরাগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এদিকে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় রেশনের দাম। দুধ, আটা, সবজিসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়তে থাকে।

    খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কমলজিৎ ও শিশুরা বিকেলে গভীর ঘুমিয়ে থাকে। এ কারণে সে কাজের মেয়েকে সন্দেহ করতে শুরু করে। কিন্তু বাড়ির মালিকের কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না। তাই কয়েকদিন আগে রাতে আবার সিসিটিভি ক্যামেরা বসান তিনি। মঞ্জু এ বিষয়ে জানতেন না।

    সিসিটিভি ক্যামেরায় পরিচারিকা মঞ্জুকে খাবারে সাদা পাউডার জাতীয় কিছু মেশাতে দেখা গেছে। তাকেও মালপত্র চুরির দায়ে পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ক্ষেত্রে পুলিশের উপ-কমিশনার (শহর) সুরজ কুমার বলেন, একটি পরিবার তাদের কাজের মেয়ের বিরুদ্ধে সন্দেহ প্রকাশ করেছে যে সে খাবারে কিছু পদার্থ মেশায়। অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    কমলজিৎ কৌর জানান, ওই গৃহকর্মী খাবারে ওষুধ মেশাত। খাবার খেয়ে আমরা সবাই গভীর ঘুমে তলিয়ে যেতাম। তারপর ঘরের জিনিসপত্র চুরি করত। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তাকে চাকরি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
     

     
  • Link to this news (আজ তক)