খোলামুখ পরিত্যক্ত খনিতে ধস, অবৈধভাবে কয়লা তুলতে গিয়ে মৃত ২
২৪ ঘন্টা | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানীগঞ্জ নারায়ণপুরের পর এবার রানীগঞ্জের বাঁশড়া খোলামুখ খনির পরিত্যক্ত এলাকায় কয়লা তুলতে গিয়ে মৃত্যু।রানিগঞ্জের আমড়াসোতা এলাকায় বাঁশড়া খোলামুখ খনিতে পরিত্যক্ত স্থানে বেআইনিভাবে কয়লা তুলতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই জন। এই ঘটনার ফলে তীব্র বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। খনি চত্বরে পৌঁছান স্থানীয় বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। পৌঁছেছেন স্থানীয় সিপিএম-এর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ও তৃণমূল নেতৃত্ব।
রানীগঞ্জের কুনুস্তরিয়া এরিয়ার বাঁশড়া খোলামুখ খনিতে রবিবার রাতে কয়লা তুলতে গিয়েছিল স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। কয়লা খোঁড়ার সময় খনিতে ধস নামে এবং সেই ধসে চাপা পড়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর মৃত দুজনের নাম বিনোদ ভূঁইয়া, ও রাজেশ তুরি।এর পাশাপাশি এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতরভাবে জখম হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। আহতদের নাম রাম প্রবেশ বার্নোওয়াল, ও কারু ভূঁইয়া। তাদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এই ঘটনার পর সকাল থেকেই বিষয়টি জানাজানি হতে স্থানীয় এলাকাবাসীরা খনির দফতরে গিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। অন্যদিকে সিপিআইএম-এর স্থানীয় নেতা সুপ্রিয় রায় ও বাম কর্মীরা দলীয় পতাকা নিয়ে খনি চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলও।অন্যদিকে খনি চত্বরে পৌঁছান আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। অগ্নিমিত্র পাল এই ঘটনার পরে কয়লা চুরিতে তৃণমূল মদত দিচ্ছে বলে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি বলেছেন যে বেকার যুবকদের এই কয়লা অঞ্চলে কোনও কাজের ব্যবস্থা নেই। পেটের জ্বালায় তারা এই বিপদজনক কাজ করে বলেও দাবি করেছেন তিনি।অন্যদিকে সিপি আইএম নেতা সুপ্রিয় রায়ের দাবি, ‘কাজ নেই সেই কারণে গরিব মানুষেরা বারবার কয়লা তুলতে গিয়ে এভাবে মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে। আমরা বারবার কোলিয়ারী কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম পরিতক্ত খনিকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। তারা এই কাজ করেনি। অর্থাৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই কয়লা চুরিতে সাহায্য করছে কলিয়ারি কর্তৃপক্ষ’।তৃণমূল কংগ্রেসও পাশাপাশি একই অভিযোগ করে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে।যদিও কয়লা খনি দুর্ঘটনায় কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন আগ্নিমিত্রা পাল। কয়লা খনি দুর্ঘটনায় মৃত রাজেশ তুরির স্ত্রী স্থানীয় আমরাসোঁতা পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রার্থী ছিলেন এই খবর পাওয়ার পর অগ্নিমিত্রা পাল কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন।যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে একজন রাজেশ তুরির স্ত্রী স্থানীয় আমরাসোঁতা পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রার্থী ছিল। যার নাম রিনা তুরি। তারপরেই রাজনৈতিক চাপানউতর আরও জোরদার হয়ে যায়।স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবারের পাশে থাকার কথা বলেন ও অগ্নিমিত্রা পাল কেন উল্টো কথা বলছেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না বলে জানান। তার কথায় পেটের জ্বালায় দল মত নির্বিশেষে এরা এই কাজ হয়তো করতে গিয়েছিল তারা পরিবারের পাশে থাকবে যেমন নারায়নকুড়িতে ছিল।