• ডার্বির রেফারিকে নির্বাসিত করার দাবি, রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ ইস্ট-মোহন কর্তাদের...
    আজকাল | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডার্বির ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও তার রেশ এখনও কাটেনি। রেফারিং নিয়ে বিস্ফোরক দুই প্রধানদের কর্তারা। ডার্বিতে রেফারির কিছু সিদ্ধান্ত দু"দলের বিরুদ্ধেই গিয়েছে। তাই ক্ষোভে ফুটছে ইস্ট-মোহন কর্তারা। মোহনবাগান-মুম্বই সিটি ম্যাচে একাধিক লালকার্ড দেখিয়ে খেলাটাই নষ্ট করে দিয়েছিলেন রাহুল গুপ্ত। সেই রেফারিকে কেন ডার্বির দায়িত্ব দেওয়া হল সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মোহনবাগান সচিব। একইসঙ্গে তাঁকে নির্বাসিত করার দাবিও তোলেন। দেবাশিস দত্ত বলেন, "মনে হচ্ছে এআইএফএফ ডার্বির মান কমিয়ে দিতে চাইছে। এত খারাপ মানের রেফারিং হলে খেলার মান পড়তে বাধ্য। মোহনবাগান-মুম্বই ম্যাচের পরও রাহুল গুপ্তকে কেন ডার্বি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হল আমি বুঝতে পারছি না। অবিলম্বে ওকে নির্বাসিত করা উচিত। শুধু ডার্বি কেন, কোনও ম্যাচই দেওয়া উচিত নয়। ফেডারেশন অনেক কিছু করার চেষ্টা করছে। একাধিক বৈঠক হয়। কিন্তু রেফারিংয়ের মানে কোনও উন্নতি নেই। যত দিন যাচ্ছে আরও খারাপ হচ্ছে। এই নিয়ে ফেডারেশনকে ভাবতে হবে। কারণ এরকম জঘন্য রেফারিং হলে খেলার মান কোনওভাবেই বাড়তে পারে না। প্রয়োজনে বিদেশি রেফারি এনে ডার্বি করাতে হবে। আগেও তো এটা হয়েছে।" রেফারিং নিয়ে সরব ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তারাও। দেবব্রত সরকার বলেন,"সবাই দেখেছে কী হয়েছে। নন্দকুমারকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া সত্ত্বেও কার্ড দেখানো হল না। মহেশের ফাউল, সায়নকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার পরও কার্ড দেখানো হয়নি। এইভাবে চলতে পারে না। আমরা কল্যাণ চৌবেকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। এভাবে চললে সেটা ভারতীয় ফুটবলের জন্যই খারাপ হবে।" আইএসএলে চারটে কার্ড দেখার জন্য এমনিতেই ডার্বিতে ছিল না শৌভিক চক্রবর্তী। সুপার কাপের ফাইনালে জোড়া হলুদ (লালকার্ড) দেখায় পরের ম্যাচেও নেই। ফেডারেশনের নিয়ম নিয়েও সওয়াল করেন লাল হলুদ কর্তারা। সুপার কাপ জয় উপলক্ষে সোমবার দুপুরে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে একটি চা-চক্রের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত, সচিব কল্যাণ মজুমদার, শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার, সহ সচিব রূপক বসু, ফুটবল সচিব সৈকত গাঙ্গুলি সহ ইস্টবেঙ্গলের অন্যান্য কর্তারা। অন্যদিকে ডার্বিতে শেষ মিনিটে দল থেকে বাদ পড়েন হুগো বুমোস। তবে কি বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল? এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বাগান সচিব। দেবাশিস দত্ত বলেন, "আমরা পুরো বিষয়টা হাবাসের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। ও যা ভাল বুঝবে করবে।" পরের ম্যাচে ৬-৭ জন ফুটবলারকে পাবে না মোহনবাগান। তবে যারা খেলবে তাঁদের ওপর আস্থা রাখতে চান বাগান কর্তা। 
  • Link to this news (আজকাল)