• ‌প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে বিল পেশ কেন্দ্রের
    আজকাল | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য,‌ দিল্লি:‌  পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা বন্ধ করতে লোকসভায় বিল আনল মোদি সরকার। তবে যাঁরা সৎপথে পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের এই বিলের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। স্কুল, কলেজ অথবা যে কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রেই এই বিলে উল্লেখিত বিধি প্রযোজ্য হবে। বিলে বলা হয়েছে, যাঁরা সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করবেন অথবা উত্তরপত্র বিকৃত করবেন তাঁদের ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পেশ করা বিলের বিধি অনুযায়ী, এই বিলের আওতাধীন যে কোনও অপরাধের ক্ষেত্রে কোনও পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ক্ষেত্রে অপরাধীর কোনও জামিন হবে না এবং এক্ষেত্রে আপোষের সঙ্গে মামলা মিটিয়ে নেওয়ার কোনও বিধি থাকবে না। অর্থাৎ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত হলে, কঠোর সাজার মুখে পড়তেই হবে অপরাধীকে। তবে বিলটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়নি। শুধুমাত্র বিলটি পেশ করা হয়েছে মাত্র। পরীক্ষায় প্রতারণা সম্পর্কিত বিলটি সংসদে পাশ এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুর সম্মতি পেলে আইনে পরিণত হবে। তারপর পরীক্ষা পদ্ধতি তৈরি নিয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। সেই সুপারিশের আওতায় থাকবে পরীক্ষা কেন্দ্রে নজরদারি, প্রযুক্তিগত সুরক্ষা এবং সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে ন্যূনতম ডিজিটাল পরিকাঠামো। বিলের বিধি অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস করলে অথবা উত্তরপত্র বিকৃত করলে ন্যূনতম ৩ বছরের কারদণ্ড হবে এবং তার মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্তও হতে পারে। তার সঙ্গে দিতে হবে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা। যদি এই অপরাধ জানানো না হয়, তাহলে সেই কর্তৃপক্ষের ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে। সেই সংস্থার উচ্চ পদাধিকারী ম্যানেজারদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে এবং কম অঙ্কের জরিমানা হতে পারে। সংগঠিতভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত থাকলে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে।কেন্দ্রের এই বিল প্রযোজ্য হবে ইউপিএসসি, স্টাফ সিলেকশন কমিশন, রেলে নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে চাকরির পরীক্ষা এবং উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশিকা পরীক্ষা অর্থাৎ ন্যাশনাল টেষ্টিং এজেন্সির পরীক্ষার ক্ষেত্রে।
  • Link to this news (আজকাল)