• প্রথম শ্রেণির পড়ুয়াকে খুনের অভিযোগ অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে ...
    আজকাল | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরিবার ছেলের পড়াশোনার জন্য আবাসিক স্কুলে পাঠিয়েছিল। মাত্র ১০-১২ দিন হয়েছে। তার মাঝেই ছেলের নামে উঠল ওই আবাসিক স্কুলেরই অন্য পড়ুয়াকে খুনের অভিযোগ। ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহের সোমবার।  সোমবার বিকালে ঘাসতোড়িয়া সারদা শিশু মন্দির শান্তিবনের আবাসিক প্রথম শ্রেণির সুদীপ মাহাতোকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আবাসিক স্কুলেরই একটি পুকুর পাড়ে পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সুদীপকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রথমে পুকুরে পড়ে মৃত্যুর কথা উঠে এলেও, পুলিশি তদন্তে উঠে আসে,ওই আবাসিক স্কুলেরই অষ্টম শ্রেণির এক পড়ূয়া এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্তে এই তথ্য উঠে আসায় রীতীমত হতবাক তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। কী পেলেন তাঁরা তদন্তে? জানা যাচ্ছে ওই পড়ুয়া আবাসিক স্কুলে থাকতে ইচ্ছুক ছিল না। পরিবার থেকে দূরে এবং পড়াশোনার চাপ দুই মিলয়ে পড়ুয়ার মনে ছিল ছুটির পরিকল্পনা। সেই সময়েই তার মাথায় আসে এই বীভৎস পরিকল্পনা? তেমনটাই জানাচ্ছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, স্কুলে পড়ুয়ার মৃত্যু হলে স্কুলে ছুটি দেওয়া হবে। সেও বাড়ি যেতে পারবে, পড়াশোনার চাপও থাকবে না, এই ভাবনা থেকেই এই পরিকল্পনা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার দিন অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়া রীতিমত পরিকল্পনা করে স্কুলের টিফিন বিরতিতে প্রথম শ্রেণির পড়ুয়াকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যায় পুকুরের ধারে। সেখানেই বারবার আঘাত করে। কীভাবে সামনে এল অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া? জানা গিয়েছে সুদীপের মৃতুর দিন যে সময় থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি, ঠিক সেই সময়েই বেপাত্তা ছিল অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াও। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন অভিযুক্তকে ওই পুকুর পাড় থেকে আসতে দেখা গিয়েছিল। সেখান থেকেই সন্দেহ এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু তাকে। অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে প্রথমে শিমুলিয়া আনন্দ মঠ জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে হাজির করা হয়। পরে হুগলির কল্যাণ ভারতী হোমে পাঠানো হয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)