• নরেন্দ্রপুরের অপ্রতিমের লিভারে মদ, বলছে ময়নাতদন্ত, মিলল কন্ডোমও, জড়িত মা-বাবা?
    আজ তক | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • নরেন্দ্রপুরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র অপ্রতিম দাসের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে লিভারে অ্যালকোহলের নমুনা মিলেছে বলে খবর। পকেটে একটি কন্ডোমের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তাই পুলিশের অনুমান, মদ্যপ অবস্থায় জলাশয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হতে পারে। 

    জলাশয়ে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু

    আবার খুনের তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। মদ্যপ অপ্রতিমকে জলাশয়ে কেউ ঠেলে দিতে পারে। সেখানেই শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হতে পারে। তবে জলে ডুবেই যে অপ্রতিমের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে আপাতত নিশ্চিত পুলিশ।

    বিয়েবাড়িতে খেতে বসে উঠে যান অপ্রতিম

    রবিবার দুপুরে নরেন্দ্রপুরের ঢালিপাড়ায় একটি জলাশয়ে ভেসে ওঠে অপ্রতিম দাসের দেহ। তাঁর বাড়ি মহামায়াতলায়। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে অপ্রতিম একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ জানাচ্ছে, ফরতাবাদে অপ্রতিমের মামারবাড়ি। মামার বাড়ির পাশেই একটি ক্লাবে বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। রাতে খেতেও বসেন। কিন্তু খেতে খেতেই উঠে যান। এর পর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছেন, শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে উঠে যান ওই ছাত্র। 

    বাবা ও মা পরস্পরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করছেন

    অপ্রতিমের মৃত্যু ঘিরে যখন নানা প্রশ্ন উঠছে, তখন ছেলেকে খুনের অভিযোগ উঠছে বাবা-মায়ের দিকেও। বস্তুত, বাবা দাবি করছেন, অপ্রতিমকে খুন করেছে তাঁর মা। আবার মা দাবি করছেন, বাবা-ই ছেলেকে খুন করে দিয়েছে। অপ্রতিমের দিদিমার দাবি, একাধিক পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে অপ্রতিমের বাবার। তাই মা-বাবা সুমন দাস ও বর্ণালী দাসকেও জেরা করছে পুলিশ। পারিবারিক সূত্রের খবর, সুমনের একাধিক পরকীয়া সম্পর্ক ঘিরে বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি হত। কিছুদিন আগে ব্যাপক অশান্তির জেরে বর্ণালী অপ্রতিমকে নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে যান। মা-বাবা উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন।  

    ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, মা-বাবার একে অপরের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ, সব মিলিয়ে অপ্রতিমের মৃত্যু ঘিরে আরও রহস্য দানা বাঁধছে। 
  • Link to this news (আজ তক)