অরূপ লাহা: পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে গলসিতে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক তরুণীর। মৃতার নাম নাদিয়া মল্লিক ( ২১) । তিনি শক্তিগড় থানার মাঝের পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মৃত ওই তরুণী একটি বেসরকারি ফাইনান্স সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। সকালে সেই কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি দু'চাকা গাড়ি নিয়ে গলিগ্রামের কাছে একটি পেট্রোল পাম্পে ঢুকেছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে তিলডাঁঙা গ্রামে তার অফিসের কাজে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় উঠে কয়েক মিটার যেতেই পিছন থেকে একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। দুর্ঘটনায় তার মাথায় উপর দিকে গাড়ির চাকা চলে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান প্রত্যক্ষর্দশীরা।স্থানীয়দের অভিযোগ জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জেরে রাস্তার ধারে লাগানো হয়েছে সিমেন্টের গার্ড ওয়াল। ফলে সংকীর্ণ হয়ে গেছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাস্তার কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। তারা রাস্তার কাজ দ্রুত করার আবেদন জানিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘাতক গাড়ির খোঁজ চালানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।প্রত্যক্ষদর্শী মহম্মদ হোসেন জানান, দেখলাম এক্সিডেন্ট হয়ে পড়ে রয়েছেন ওই তরুণী। জাতীয় সড়কের কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে। এতে আরও অনেক দুর্ঘটনা হবে। আরও অনেকে মারা যাবে। এই হাই রোড ধরেই আমাকে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তার প্রয়োজন। কিন্তু তা আরও দ্রুত গতিতে করতে হবে। গার্ডওয়াল দেওয়ার কারণে জায়গা সংকীর্ণ হয়ে আসছে। তাই দুর্ঘটনা ঘটছে।অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দ মণ্ডল বলেন, গার্ডওয়াল দেওয়া হয়েছে, মাটি পড়ে রয়েছে। সেই জন্যই রাস্তা কমে গিয়েছে। পাশাপাশি দুটো গাড়ি গেলে আর পথচারী বা বাইক আরোহীদের জন্য কোনও জায়গা থাকছে না। বাইকটা বাঁদিকে পড়েছে, আর মেয়েটি ডান দিকে পড়ে। এরপর তার উপর দিয়ে একটি গাড়ি চলে যায়। রাস্তার কাজ হোক কিন্তু মানুষের সুবিধে বুঝে করা হোক। মেয়েটি গলসি থেকে পুরশা দিকে যাচ্ছিল। পাম্পে তেল ভরার পর রাস্তায় উঠতেই দুটি গাড়ির চাপাচাপির মধ্যে রাস্তায় পড়ে যায়।