থেঁতলানো নাক-মুখ, হোস্টেলের বন্দি দশা থেকে মুক্তি পেতে প্রথম শ্রেণির শিশুকে খুন অষ্টমের ছাত্রের!
২৪ ঘন্টা | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মনোরঞ্জন মিশ্র: খেলতে গিয়ে আর হস্টেলে ফেরেনি শিশুটি। যখন ফিরে পাওয়া গেল তখন তার অবস্থা দেখে শিউড়ে উঠেছিল অনেকেই। নাক-মুখ থেঁতলানো রক্তাক্ত দেহ। তবে এই খুনের নেপথ্যের কাহিনি জেনে অবাক পুলিস। হস্টেলের বন্দী দশা থেকে মুক্তি পেতে নাকি এহেন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। মৃত শিশুর নাম সুদীপ মাহাতো (৬)। প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছিল সে।ঘটনায় সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি মানবাজার থানার পুলিসের হাতে আটক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ওই বিদ্যালয়েরই এক পড়ুয়া। প্রথমে তাকে পুরুলিয়ার শিমুলিয়া আনন্দমঠ জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে পেশ করা হয়। পরে সেখান থেকে হুগলির কল্যাণ ভারতী হোম পাঠানো হয়। হোস্টেলের বন্দি দশা থেকে মুক্তি পেতে এই খুনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে ওই কিশোর। এমনই তথ্য প্রাথমিক তদন্তে উঠেছে এসেছে পুলিসের কাছে।
জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে হোস্টেল সংলগ্ন মাঠে খেলা করতে গিয়েছিল প্রথম শ্রেণীর ওই শিশুটি। ফিরে না আসার খোঁজ শুরু হয় পড়ুয়ার। পরে হোস্টেল সংলগ্ন পুকুর পাড়ে ওই শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেদিন বিকেলেই ওই শিশুকে প্রথমে মানবাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পরে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিশুর নাক, মুখে ক্ষত চিহ্ন থাকায় সন্দেহ হয় সকলের।পরদিন ৩১ জানুয়ারি বুধবার দেহের ময়নাতদন্ত হয় পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে। ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হয় মৃত শিশুর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নেমে ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার ওই বিদ্যালয়েরই অষ্টম শ্রেণীর অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।