অর্নবাংশু নিয়োগী: বেআইনি চাকরি প্রসঙ্গে কড়া কলকাতা হাইকোর্ট। খুব শীঘ্রই বেআইনি চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে। মঙ্গলবার এমনটাই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ইডির তদন্তের গতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে আজ আদালতের তরফে। যে গতিতে তদন্তে চলছে তাতে প্রমাণ কিছুই পাওয়া যাবে না। ইডির তদন্তে এত বিলম্ব কেন? ক্ষোভ আদালতের।
প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার শুনানিতে আজ বেশকিছু কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, যে গতিতে তদন্ত এগোচ্ছে তাতে সবাই ছাড়া পেয়ে যাবে। ইডি কিছুই করতে পারবে না। ইডির তরফে আজ বলা হয় তদন্ত করতে গিয়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তার পরেও গন্তব্যে পৌঁছব।ইডির আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনার কি মনে হয় সবকিছু খুব মসৃণ হবে? ইডির আইনজীবী বলেন, বিভিন্নজনের সম্পত্তি অ্য়াটাচ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তদন্তের সমালোচনার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদেরও সমালোচনা করেন বিচারপতি। ইডির উদ্দেশ্যে আদালতের বক্তব্য, আপনারা যেবাবে এগোচ্ছেন তাতে সবাই ছাড়া পেয়ে যাবে। পর্যদকে বিচারপতির প্রশ্ন, প্যানেলের বাইরে থেকে ৯৪ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। অর্থাত্ ওই নিয়োগ বেআইনি। তাহলে কি দুর্নীতি বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছে পর্ষদ? সময় অনেকটাই পেরিয়ে গিয়েছে। তাহলে তদন্ত কোথায় দাঁড়াবে? এদিকে, যে ৯৪ জনের চাকরি অবৈধ বলে বাতিল করা হয়েছিল তাদের নিয়োগ করা হোক, আদালতে এমনটাই আবেদন করেন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী।ওই মামলায় ইডির আইনজীবী বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কয়েকজনের সম্পত্তি অ্য়াটাচ করেছি। একটি সংস্থার বেশকিছু সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছি। সেই সংস্থার সম্পত্তি শীঘ্রই অ্য়াটাচ করে আমরা তালিকা দিয়ে বলব কেথায় কত সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে।উল্লেখ্য, সিবিআই তার রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে কীভাবে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সেই অপরাধসংঘটিত হওয়ার প্রক্রিয়ার তারা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আগামী ১২ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।ওই মামলা নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, চুরি করে চাকরি হলে চাকরি যাবেই। যাদের মেধা প্রতারিত হয়েছে তারা যাতে নিয়োগ পান সেটাই সবাই চাইছেন। তদন্তের দেরির পরও মানুষের আস্থা রয়েছে। কারণে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাগুলির কাজই হল আসল তথ্য় আড়াল করা। তদন্ত গতি পেলেই তৃণমূল চিত্কার করবে। যা হচ্ছে কোর্টের নির্দেশে হচ্ছে।