'যা বলেছি সাময়িক ক্ষোভ থেকে বলেছি', ভোলবদল তৃণমূলের সংখ্যালঘু মুখপাত্রের!
২৪ ঘন্টা | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রবীর চক্রবর্তী: এবার 'ড্যামেজ কন্ট্রোল'। 'যা বলেছি সাময়িক ক্ষোভ থেকে বলেছি', বেলা গড়াতেই ভোল বদলে গেল তৃণমূলের একমাত্র সংখ্যালঘু মুখপাত্র কামাল হাসানের! বললেন, 'আমি দুঃখিত। দলের সুপ্রিমো যাঁরা আছে, তাঁদের প্রতি আমার আস্থা আছে। এখনও কিন্তু খাতা-কলমে আমি দলের মুখপাত্র আছি'।
ঘটনাটি ঠিক কী? শিয়রে লোকসভা ভোট। রাজ্যে মাদ্রাস কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কামাল হাসান। এদিন সকালে তিনি বলেন, 'মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন নিয়ে যা হচ্ছে, ঠিক তা ঠিক হয়নি। কেন দুটি ভুলে এক নম্বর কাটা যাবে'। তাঁরও বক্তব্য ছিল, 'একমাস আমি প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে আছি। আমার কোনও কথাই শুনছে না! তাহলে আমাকে ওখানে রেখেছেন কেন? সংখ্যালঘুদের থেকে চাপ আসছে। তৃণমূলে আর থাকতে পারছি না'।বিকেলে আবার সেই কামাল হাসানই বললেন, 'সংবাদমাধ্যমে আজকে আমি কিছু কথা বলেছি। সেটা আমরা সাময়িক অভিমান, কষ্ট থেকে বলেছি। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু বক্তব্য ছিল। আমার সঙ্গে পার্টি কথা হয়েছে এবং দ্রুত সেই সমস্যার সমাধান হবে। যদিও সমস্যাটা গভীর, সেজন্য় হয়তো একটু দেরি হবে। কিন্তু এরমাঝে সংবাদমাধ্যমে যা বলেছি, সেটা না বললেই ভালো হত'।বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, 'তৃণমূল এরমধ্যেই অনুরাগের ছোঁয়া দিয়ে দিয়েছে! ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছেন। ঠিক যেমন তৃণমূলের পরিবারের কেউ খুন হন, আর তাদের পরিবারের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া থাকে, আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। এই পুলিসের সহযোগিতাই খুন হয়েছে। আর পরের দিন আবার থানায় গিয়ে বলেন, আমাদের মু্খ্যমন্ত্রী, সিআইডি-র উপর আস্থা আছে। তাঁরা তদন্ত করলেই আমরা খুশি'।এদিকে দলের একমাত্র সংখ্য়ালঘু মুখপাত্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'কামালবাবু, তিনি মুখপাত্র হয়েছেন, বেশি দিন হয়নি। তাঁকে একটু ধৈয্য রাখতে হবে। অল্প দিন মুখপাত্র হয়ে যদি তাঁর কোনও বিষয়ে খারাপ লাগা থাকে... খারাপ লাগা থাকতেই পারে। কিন্তু যখন আমি একটা দল করি, দলের শৃঙ্খলা বলে জিনিস থাকে। দলের একজন শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মীর সবার আগে নজর রাখা উচিত, দলীয় আনুগত্য, শৃঙ্খলা জায়গাটা। ধন্যবাদ জানাব কামালকে। সেটা বুঝতে পেরে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করেছেন'।