• 'ভাল কাজের জন্য প্রাপ্য সম্মান মেলে না,' হঠাত্‍ আক্ষেপ নীতিন গড়করির
    আজ তক | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • ভাল কাজের স্বীকৃতি মেলে না। হাসতে হাসতেই 'মনের কথা' বললেন নীতিন গড়করি। মঙ্গলবার মারাঠি সংবাদমাধ্যম লোকমত মিডিয়ার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'যাঁরা ভাল পারফরম্যান্স করেছেন, খুব কম ক্ষেত্রেই তাঁরা প্রাপ্য স্বীকৃতি পেয়েছেন। আর যাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদেরও সেরম কোনও শাস্তি মেলে না।' তবে নির্দিষ্ট কারও নাম কিন্তু উল্লেখ করেননি গড়করি। 

    'আমি সবসময় মজা করে বলি, যে দলের সরকারই হোক না কেন, একটা জিনিস নিশ্চিত, যে ভাল কাজ করে সে কখনও সম্মান পায় না এবং যারা খারাপ কাজ করে তাদের কখনও শাস্তি হয় না,' পিটিআই-কে বলেন তিনি।

    এর পাশাপাশি গড়করি 'সুবিধাবাদী' নেতাদের নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই শ্রেণির নেতারা যে ক্ষমতায় থাকে, তার সঙ্গেই সবসময়ে যুক্ত থাকেন। এর পাশাপাশি তাঁর আফসোস, একসময়ে রাজনীতিবিদরা তাঁদের আদর্শে অনড় থাকতেন। তবে তাঁদের সংখ্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, এই ধরনের 'মতাদর্শের অবনতি' গণতন্ত্রের জন্য ভাল নয়।

    তিনি আরও বলেন, তর্ক-বিতর্ক এবং আলোচনায় মতামতের পার্থক্য হওয়াটা কোনও সমস্যা নয়। 'আমাদের সমস্যা হল স্পষ্ট ধারণার অভাব,' বলেন সিনিয়র বিজেপি নেতা।

    'এমন কিছু লোক আছেন যাঁরা তাঁদের মতাদর্শে অনড় থাকেন। কিন্তু এই ধরনের লোকের সংখ্যা কমছে। আদর্শের এই অবনতি গণতন্ত্রের জন্য ভাল নয়,' বলেন তিনি।

    গড়করি যোগ করেন, 'ডানপন্থী বা বামপন্থী নই, আমাদের  পরিচয়, আমরা সুবিধাবাদী, অনেকে এইরকম লেখেন। সবাই খালি শাসক দলের সঙ্গেই থাকতে চায়।'

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্ধৃত করে গড়করি বলেন, 'ভারত গণতন্ত্রের জননী।' তিনি বলেন, 'এই বিশেষত্বের কারণেই আমাদের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য আদর্শস্বরূপ।'

    গড়করি বলেন, 'প্রচার এবং জনপ্রিয়তা প্রয়োজন। সংসদে এসে কেউ কী বলছেন, তার চেয়ে তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের জন্য কীভাবে কাজ করছেন, সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'

    গড়করি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের বক্তৃতা দেওয়ার দক্ষতার প্রশংসা করেন। এর পাশাপাশি তিনি বলেন 'প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্দেসের আচরণ, সারল্য এবং ব্যক্তিত্ব থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি।'

    তিনি বলেন, 'অটল বিহারী বাজপেয়ীর(প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী) পরে, আমি যাঁকে দেখে খুব মুগ্ধ হয়েছিলাম, তিনি ছিলেন জর্জ ফার্নান্দেস।'

    প্রবীণ বিজেপি নেতা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরী ঠাকুরের কথাও উল্লেখ করেন। সম্প্রতি মরণোত্তর ভারতরত্ন পেয়েছেন কর্পুরী ঠাকুর। তিনি বলেন, এই ধরনের লোকেদের কারণেই দেশের গণতন্ত্র অটুট রয়েছে।

    'মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর, তিনি (কর্পুরী ঠাকুর) অটোরিকশায় করে যাতায়াত করতেন। তাঁর জীবনযাত্রা খুবই সাধারণ ছিল,' বলেন গড়করি। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের এই ধরনের মানুষদের থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া উচিত।
  • Link to this news (আজ তক)