মাধ্যমিকের আগেই নিখোঁজ দুই ছাত্রী! আজমের শরীফ থেকে উদ্ধার পুলিসের
২৪ ঘন্টা | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বিধান সরকার: পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিক হয়নি,পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ দুই ছাত্রী। আজমের শরীফ থেকে উদ্ধার করল চন্দননগর পুলিস। গত ২৯ জানুয়ারি রিষড়া পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের আর এন শা রোডের বাসিন্দা দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পড়তে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরোয় এই দুই পড়ুয়া। সহপাঠি বন্ধুদের জানায় পড়তে যাবে না জেরক্স করাতে যাবে। তারপর দুই পড়ুয়া খাবারের দোকানে যায়। সেখান থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায় না। দুই ছাত্রীর মোবাইলও বন্ধ থাকে।
ওইদিন রাত সারে দশটা নাগাদ ছাত্রীরা বাড়িতে করে ওই দুই ছাত্রী। এবং জানায় তারা বিপদে আছে এবং তাদের বাঁচাতে। এরপরই তাদের ফোন বন্ধ হয়ে যায়।
ছাত্রীর পরিবার রিষড়া থানায় দারস্থ হয়। পুলিস ছাত্রীদের ছবি দিয়ে অন্যান্য থানাকে জানায়। জিআরপি কেও মেসেজ দেওয়া হয়। ছাত্রীদের মোবাইলের শেষ টাওয়ার লোকেশান বর্ধমান দেখানোয় পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান পুলিসের কন্ট্রোল রুমেও জানানো হয়। চন্দননগর পুলিস কমিশনার নিজে গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি খোঁজ নিতে শুরু করেন। পরদিন জানা যায়, রাজস্থানের আজমের শরীফে রয়েছে দুই ছাত্রী।আজমের শরীফের পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে চন্দননগর পুলিস। দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়। রিষড়া থানা থেকে একটি টিম রওনা হয় আজমের শরীফের উদ্দেশে। মঙ্গলবার দুই ছাত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরে পুলিস।বুধবার দুই ছাত্রীকে উত্তরপাড়া হোমে পাঠানো হয়। ছাত্রীদের পরিবার থেকে জানা যায়, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিকমত না হওয়ায় তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।চন্দননগর পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, 'দুই ছাত্রী কোথায় যেতে পারে তার খোঁজ করতে গিয়ে তাদের মোবাইল ট্র্যাক করা হয়,পাশাপাশি দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়তেও তারা মাঝে মধ্যে সক্রিয় হচ্ছিল।। তারই সূত্র ধরে আজমের শরীফে সন্ধান মেলে। তাদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।'রিষড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খান বলেন, 'দুই ছাত্রী রিষড়ার একটি স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো অপহরন হয়েছে। পরে জানা যায় প্রস্তুতি না হওয়ায় তারা পালিয়ে যায়। ধন্যবাদ দেব চন্দননগর পুলিস কমিশনারকে এবং রিষড়া থানার পুলিসকে। সিপি নিজে রিষড়া থানায় এসে তদারকি করেছেন। খুব দ্রুত ছাত্রীদের উদ্ধার করা গিয়েছে।'