• স্ত্রীকে গলার নলি কেটে খুন স্বামীর, বাধা দেওয়ায় ছুরির আঘাত ছেলেকেও
    ২৪ ঘন্টা | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • ই গোপী: গলার নলি কেটে স্ত্রীকে খুন স্বামীর। অভিযোগ, পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুন করেছে স্বামী। বুধবার ভোররাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ১১ নং মোহাড় অঞ্চলের বরদা এলাকায়। নৃশংস এই ঘটনার জেরে সবংয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত গৃহবধুর নাম উমা দাস জানা (২৯)। বাড়ি বরদা এলাকায়। বাবার আক্রমণ থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয় ছেলেও। ঘটনায় অভিযুক্ত গুরুপদ জানা পলাতক।

    পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছর আগে উমার সঙ্গে বরদা এলাকার গুরুপদ জানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর বেশকয়েক বছর সংসার সুখ স্বাচ্ছন্দে চললেও মাস কয়েক আগে থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয়ে অশান্তি প্রতিনিয়ত হত। বুধবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তবে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ছেলেকে নিয়ে তিনজনেই ঘুমিয়ে পড়ে। ভোররাতে গুরুপদ স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কোপাতে শুরু করে।মায়ের চিৎকার শুনে ছেলের ঘুম ভেঙে যায়। ছেলে সন্তু জানা বাবাকে বাধা দিতে যায়। বাধা দিতে গেলে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ছেলেকেও চুরি আঘাত করে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে স্থানীয়রা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহবধূ পড়ে রয়েছে। মায়ের পাশে কান্নাকাটি করছে ১৪ বছর বয়সি ছেলে সন্তু। মৃত গৃহবধূর বাবা গুরুপদ দাসের অভিযোগ, 'জামাই প্রতিনিয়ত মদ্যপান করে বাড়ি ফিরত। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি হত। তারই প্রতিবাদ করায় মেয়েকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে নিশংসভাবে খুন করেছে জামাই।'এরপরই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় গুরুপদ জানা। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধুর মৃতদেহ ও আহত ছেলেকে উদ্ধার করে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনায় সবং থানায় এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পারিবারিক অশান্তি নাকি এর পিছনের রয়েছে অন্য কোন কারণ ? তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে সবং থানার পুলিস আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই  অভিযুক্তর খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)