জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'আর কিছুক্ষণ!', নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এভাবেই লিখেছেন সাংসদ দেব। রাজনীতি থেকে সরছেন দেব, এই জল্পনা বহুদিন ধরেই কানাঘুসো শোনা যাচ্ছে। তার মধ্যেই ঘাটালের তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে একটি অডিয়ো ফাইল ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুই দলেরই সাংসদ দেবের বিরুদ্ধে সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে ৩০ শতাংশ কমিশন চাইত বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
যদিও এই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি জি২৪ ঘণ্টা। তবে ভাইরাল সেই অডিয়ো কথপোকথনে যে বিস্ফোরক অভিযোগ করা হচ্ছে সেই কন্ঠস্বর খোদ তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান তথা ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের। তবে অপরপ্রান্তে কার সঙ্গে শঙ্কর দলুই, দেবকে নিয়ে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন তা জানা যায়নি। সেই কথোপকথোনে শোনা যাচ্ছে, ''আমি দিদিকে বলেছি দেব আমার কাছে সাংসদ তহবিল থেকে ৩০ শতাংশ কমিশন চাইছে,দিদি বলছে ছেড়ে দে তুই ওর কাজটা করিসনি। কিন্তু আমি তো দিদিকে বলেছি দিদিতো এটা জানে জেনেও তো ওকে সাপোর্ট করেছে,কেন করেছে? কারণ ওকে আবার রাজনীতিতে প্রয়োজন।'' এই প্রসঙ্গে অবশ্য দেব বলেছেন, যে অডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, আমার মনে হয় সেটা 'দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে দিদিকে বলেছেন। শঙ্কর দলুই বলেছেন, 'এনিয়ে আমার সম্যক ধারণা নেই, আমি দেবের কোনও প্রতিনিধি নই। দেব আমাদের এমপি, দেবের সঙ্গে আমার কোনও কিছু নেই। এটা নিয়ে একটা গভীর ষড়যন্ত্র আছে আমি মনে করছি। কারণ এখনের দিনে আধুনিক প্রযুক্তিকে অন্যভাবে ব্যবহার করা যায়। যার সঙ্গে আমি কথা বলছি তার কন্ঠস্বরটা একবারও ভেসে আসেনি। এটা আমার কাছে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি করছে। আশাকরি এরকম কথা আমার মুখ থেকে বেরোয়নি। যেহেতু আমি দেবের প্রতিনিধি নই কেনও বলতে যাবো এসব। তার এমপি ল্যাড দেখাশোনা করি না। আমার সঙ্গে দেবের সম্পর্ক খারাপ নেই, সাংসদ হিসাবে যেটুকু থাকার সেটা আছে।'প্রসঙ্গত, শনিবার একইদিনে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের স্টার সাংসদ দেব। জেলা শাসককে চিঠি লিখে বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে, ঘাটাল রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি ও ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন দেব। এ বিষয়কে সাংসদকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'দলকে জানিয়ে দিয়েছি। কেন ইস্তফা দিয়েছি।'এমনকী আবার প্রার্থী হবে কি না এই প্রশ্ন এড়িয়েও দিল্লিতে এদিন দেবের জবাব, 'যা জানানোর দলকে জানিয়ে দিয়েছি।' রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন সংসদীয় রাজনীতিতে তিনি রয়ে যাবেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবত দেবের অনিচ্ছাকে সম্মান জানিয়েই ভোটে তাঁকে দাঁড় করাবেন না। রাজ্যসভায় জিতিয়েই তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারেন।