• আশ্চর্য! নদী থেকে উঠে এল একেবারে রামলালার মতো দেখতে বিষ্ণুমূর্তি, সঙ্গে প্রাচীন শিবলিঙ্গ...
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নদীগর্ভ থেকে উদ্ধার হল এক প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি। ঘটনাস্থল কর্নাটক। এরকমই অবশ্য প্রায়ই হয়। এর মধ্যে আপাত ভাবে নতুন কিছু নেই। তবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এসব নিয়ে সঙ্গত কারণেই প্রচুর গবেষণা চর্চা হয়। তবে, এবারের এই মূর্তি উদ্ধারের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে এক বিশেষ ব্যাপার। তা হল, উদ্ধারকৃত বিষ্ণুমূর্তিটি হুবহু কদিন আগে অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত রামলালার মূর্তির মতো! আর এতেই তাক লেগে গিয়েছে সকলের।

    বিষ্ণুমূর্তির সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে একটি শিবলিঙ্গও। ঘটনাস্থল কর্ণাটকের রায়চুর জেলার দেবাসুগুর গ্রাম। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কৃষ্ণা নদী। সেই নদী থেকেই উদ্ধার হয়েছে এই মূর্তিদ্বয়। এক মাঝি নদী থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করেন এবং তিনি দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনে খবর পাঠান।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বিষয়টি নিয়ে খুবই উত্তেজিত। তাঁদের অনেকেই অযোধ্যার রামমন্দিরে সদ্য প্রতিষ্ঠিত রামলালার মূর্তির সঙ্গে নদী থেকে উদ্ধারকৃত প্রচীন বিষ্ণুমূর্তির মিল দেখে স্তম্ভিত! বিষয়টি ব্যাখ্যা করে প্রাচীন ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বের অধ্যাপক ড. পদ্মজা দেশাই বলেন, রামলালা যেমন একটি পেডেস্টালের উপর স্থাপিত তেমনই এই বিষ্ণুমূর্তিও একটি পেডেস্টালে স্থাপিত। রামলালার মূর্তির চারপাশে যেমন দশাবতার অঙ্কিত, তেমনই এই মূর্তির চারপাশেও দশাবতার মূর্তি রয়েছে! আলাদা করে বিষ্ণুমূর্তিটির প্রাচীনত্ব ও বিশেষত্ব নিয়েও ব্যাখ্যা দেন তিনি। তিনি দেখান, এই বিষ্ণুমূর্তিটি যেভাবে দাঁড়িয়ে আছে (স্ট্যান্ডিং পসচার অফ দ্য আইডল), সেটিও খুব তাৎপর্যপূর্ণ।অযোধ্যার রামলালার মূর্তি তৈরি করার পুরো বিষয়টিই রামলালার বিখ্যাত ভাস্কর তথা মূর্তিশিল্পী কর্ণাটকের অরুণ যোগীরাজের কাছে ছিল এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতা। তিনি বলেছেন, যে কয়েকদিন ধরে তিনি রামলালার মূর্তি তৈরি করছিলেন, সেই কয়েকদিন রাতে তিনি ঘুমোতে পারেননি। বারবার উঠে পড়তেন। তাঁর মনে হত, রামলালা যেন তাঁকে ডাকছেন!'প্রাণপ্রতিষ্ঠা'র পরে নিজের তৈরি মূর্তি নিজেই চিনতে পারেননি অরুণ যোগীরাজ। তিনি বলেন, প্রাণপ্রতিষ্ঠার কাজ মিটে গেলে নিজের তৈরি রামের মূর্তির দিকে তাকিয়ে তিনি নিজেই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন! মূর্তির দিকে তাকিয়ে তিনি যেন চিনতে পারেন না তাঁর রামলালাকে। যখন মূর্তিটি তিনি তৈরি করছিলেন, তখন সেটা একরকম ছিল; পরে সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ ধারণ করে। সে মূর্তি তিনি আর চিনতে পারেন না! অরুণ আগেও বলেছেন, রামের মূর্তি কেমন হবে, সে সম্পর্কে প্রথমে তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না। গত বছর দীপাবলির সময় তিনি অযোধ্যায় গিয়েছিলেন। অযোধ্যায় সেই সময় কয়েকজন শিশুকে দেখেছিলেন। তখন ভিতর থেকে একটা অদ্ভুত ভাবনা যেন দিশা দেখায় তাঁকে। সেই শিশুদের মুখ দেখার পরই রামের মুখ সম্পর্কে তাঁর মনে যেন একটা ধারণা সেদিন তৈরি হয়ে গিয়েছিল!
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)