• বাড়ি পাচ্ছেন চা শ্রমিকরা, বাজেটে সংখ্যা ঘোষণা করে দিল মমতা সরকার
    আজ তক | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • West Bengal Budget 2024: চা বাগানের ২৫০০ একরেরও বেশি অব্য়বহৃত উদ্বৃত্ত জমি ২৩০০০ চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ৫ শতক পর্যন্ত করে চা শ্রমিকদের বাস্তু জমির পাট্টা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও চা-সুন্দরী প্রকল্পে বাড়ি বানানোর জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আলিপুর-জলপাইগুড়িতে ইতিমধ্যেই ১১৭১টি এই প্রকল্পে বাড়ি হয়েছে। যা শ্রমিকদের জীবনযাত্রা মানের উন্নতি ঘটাবে। বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেট পেশ করার সময় এই ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

    চা শ্রমিকদের অস্বাস্থ্যকর, ঘিঞ্জি পরিবেশে থাকা থেকে মুক্তি দিতে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার 'চা সুন্দরী প্রকল্প' চালু করেছে। যে প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের ১১টি চা বাগানে ২০০০টিরও বেশি আবাসিক ইউনিট তৈরি করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত এই প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ১৯৭.৪০ কোটি টাকা। সম্প্রতি বাড়িগুলি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

    সরকারি সূত্রের খবর, জলপাইগুড়িতে ৪ টি এবং আলিপুর দুয়ারে ৭ টি চা বাগানে মোট ২৮৫১টি ইউনিট তৈরি হয়েছে। নবান্নের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বাড়িগুলি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি আবাসিক ইউনিটে থাকবে দুটি ঘর, একটি বাথরুম, একটি রান্নাঘর এবং বারান্দা। এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা।

    শুধু বাসস্থান নয় বাস করার পরিকাঠামোয় গড়ে দেবে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি। বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহের ব্যবস্থা করবে বিদ্যুৎ এবং সেচ দফতর। এছাড়া স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করবে স্বাস্থ্য দফতর। 'চা সুন্দরী' আবাসন প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় হবে ১৯৭.৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্র মূলধন বরাদ্দ বাবদ ১০০ কোটি টাকা দেবে, যা ব্যয় হবে 'চা সুন্দরী' আবাসনের জন্য।

    প্রসঙ্গত ২০২০'চা সুন্দরী' প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দে কথা ঘোষণা করা হয়। সেই প্রকল্পের কাজ চলছে। কারা পাবেন এই প্রকল্পের বাড়ি তার তালিকা তৈরি করেছে শ্রম দফতর। সেই প্রাথমিক ভাবে ১১টি চা বাগানের শ্রমিকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী বাড়ি দেওয়া হচ্ছে আবাসন প্রকল্পের। 

     
  • Link to this news (আজ তক)