'প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি-অভিনয় দুই ছাড়ব, ওরা রাজনীতি ছাড়বেন তো'' চ্যালেঞ্জ দেবের
২৪ ঘন্টা | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাজীব চক্রবর্তী: 'প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি-অভিনয় দুই ছাড়ব, ওরা রাজনীতি ছাড়বেন তো?' বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে বিদায়ী ভাষণ রাখার পরেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল(TMC) সাংসদ(MP) দেব(Dev)। বুধবার ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ(Viral Audio Clip) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই ভাইরাল ক্লিপে দাবি করা হয়েছে যে এমপি ল্যাড থেকে ৩০ শতাংশ কমিশন নেন দেব। বুধবার সেই প্রসঙ্গে মুখ না খুললেও বৃহস্পতিবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তারকা-সাংসদ।
বুধবার একটি ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে দেবের নাম জড়ায়। যদিও সেই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি জি২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুই দলেরই সাংসদ দেবের বিরুদ্ধে সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে ৩০ শতাংশ কমিশন চাইত বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন। যদিও পরবর্তীকালে সেই কথা অস্বীকার করেছেন শঙ্কর দলুই। সেই কথোপকথোনে শোনা যাচ্ছে, ''আমি দিদিকে বলেছি দেব আমার কাছে সাংসদ তহবিল থেকে ৩০ শতাংশ কমিশন চাইছে,দিদি বলছে ছেড়ে দে তুই ওর কাজটা করিসনি। কিন্তু আমি তো দিদিকে বলেছি দিদিতো এটা জানে জেনেও তো ওকে সাপোর্ট করেছে,কেন করেছে? কারণ ওকে আবার রাজনীতিতে প্রয়োজন।''ভাইরাল অডিও ক্লিপ ও ইডির ডাকা প্রসঙ্গে দেব বলেন, 'বনির কেসটা আমাদের সামনে জ্বলন্ত কেস। গাড়ির টাকা ও ফেরত দিয়ে দিয়েছে। আমি যদি কারোর থেকে টাকা নিয়ে থাকি তাহলে এতদিন আমায় কেন ছেড়ে দেওয়া হল'। পাশাপাশি যাঁরা দেবের দিকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেব বলেন, 'কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে, আমি টাকা নিয়েছি, তাহলে আমি রাজনীতি কেন, ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেব। কিন্তু যাঁরা এই দাবিগুলো করছেন তাঁরা যদি প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে কি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন? বৃহস্পতিবারই ছিল দেবের পার্লামেন্টের শেষ সেশন। বিদায়ী ভাষণের পর পার্লামেন্টের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর রাজনীতিতে থাকা না থাকা প্রসঙ্গে দেব বলেন, 'আমার শেষদিন আজ পার্লামেন্টে। দলটা আমার বাবার নয়, দলটা চালানোর লোক আছে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন। আমি চাইলেই টিকিট দেবে না, আমি চাইলেই ছেড়ে চলে যাব, সেটাও সম্ভব নয়। এত সোজা নয়, এত সোজা হলে আমাদের দেশে অনেক আগে অনেক কিছু হয়ে যেত'।সামনেই ভোট, সেই প্রসঙ্গে সাংসদ দেব বলেন, 'আমরা সবাই শান্ত, সুস্থ সমাজ চাই। আগামী নির্বাচন সেটা মাথায় রেখে হওয়া উচিত। শুধু বাংলায় নয় সারা ভারতেই শান্তিতে ভোট হওয়া উচিত। এটা হিন্দু-মুসলিম, মন্দির-মসজিদ করা উচিত নয়। মানুষ কীভাবে শান্তিতে, নির্ভয়ে, উন্নয়নে থাকে, সেটা মাথায় রেখেই ভোট হওয়া উচিত'।