বিধান সরকার: বুধবারই শ্রীরামপুরে বহিরাগত লকেটকে চাই না বলে পোস্টার পরে বিভিন্ন জায়গায়। তারপরই নিজের অবস্থান নিয়ে মুখ খুললেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে এবারও হুগলী জেলার সাংসদ হিসাবে তিনিই লড়াই করবেন বলে স্পষ্ট করলেন পরাজিত বিধায়ক। লকেট বলেন, 'তৃণমূল আমার নামে জুজু দেখছে। কোনও সময় তারা বিজেপির নাম করে শ্রীরামপুরে পোস্টার দিচ্ছে। কখনও দেখবেন আরামবাগে দিচ্ছে। এরপর দেখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র দক্ষিণ কলকাতায় পড়বে। কখনও দেখবেন ডায়মন্ড হারবারে পড়বে। আমি একটা কথাই বলব, ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা।'
তিনি আরও বলেন, 'অন্য লোকসভা কেন্দ্রগুলোতে কি হবে জানি না। হুগলিতে আমি গত লোকসভায় জিতেছিলাম। এবারও হুগলি জিতবে।' লকেট চট্টোপাধ্যায় ২০১৯ সালে ৮০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন। দ্বিতীয়বারের জন্য হুগলি থেকে নিশ্চয়ই লড়বো। সবটাই আমাদের পার্লামেন্টারি বোর্ড ঠিক করে। আমরা যারা সাংসদ হয়েছিলাম তারা দ্বিতীয়বারের জন্য আবার সংসদে পৌঁছাব। এক নতুন জায়গা থেকেও সাংসদরা জিতে পৌঁছবেন।গত বিধানসভা ভোট,পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে হুগলিতে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ২০২১ সালের ভোটের পর থেকে ২০২৪ সালের পরিস্থিতি অনেক পাল্টেছে। তারপর যদি দেখেন তৃণমূলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দূর্নীতি তাদের নেতা মন্ত্রীরা জেলে গিয়েছে। শিক্ষা,পুরসভা, রেশন, ১০০ দিনের কাজে কোটি কোটি টাকার দূর্নীতি হয়েছে। গরিব মানুষের টাকা তৃণমূল লুট করেছে। তাই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আর তৃণমূলকে চাইছে না।লকেট চট্টোপাধ্যায় গত বিধানসভায় চুঁচুড়া থেকে লড়াই করে অসিত মজুমদারের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। আবার লোকসভায় দাঁড়ালে হারবেন বলে জানিয়েছেন অসিত মজুমদার। সে প্রসঙ্গে লকেট বলেন, যিনি বৃদ্ধদের সম্মান করেন না তার সম্বন্ধে একটা কথাও খরচা করতে চাই না। যে ধরনের দুর্নীতি চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকায় হয়েছে সব বেরিয়ে আসবে ইডি সিবিআই ও খুব শীঘ্র আসবে।মানস ভুঁইয়া বলেছেন, একশ দিনের টাকা যখন ঢুকবে তখন কোনও নেতা টাকা চাইতে গেলে পুলিস দিয়ে গ্রেফতার করানো হবে। সেই প্রসঙ্গে লকেট বলেন, এতদিন ধরে ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছিলেন না। হঠাৎ করে তিনি ঘোষণা করলেন শ্রমিকদের টাকা দেবেন। এই টাকাটা কোথায় ছিল কার বাড়ির আলমারিতে ছিল। এটা তো কেন্দ্রীয় সরকারেরই টাকা ঘুর পথে চুরির টাকা মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে যাবে আর সেটাই সততার প্রতীক হয়ে যাবে। তৃণমূলের ওপেন লুট চলছে ২০২৪ সালে তার জবাব দেবে মানুষ।দেব ও ভাইরাল অডিয়ো প্রসঙ্গে লকেট বলেন, উনি অনেক কমিটি থেকে বাদ গিয়েছেন শুনেছি। ওনার সঙ্গে অনেক কাজকর্ম করেছি। অনেক সময় দেখেছি না জেনে তারা দুর্নীতির মধ্যে ঢুকে পরে বুঝতে পারে না। তাদের টিকিট দিয়ে সামনে রেখে পিছনে দুর্নীতি চলে। আমি শুনেছি উনি বারবার বলেছেন, উনি আর রাজনীতিতে থাকতে চান না। অনেকবার মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন। উনি সিনেমা জগতেই থাকতে চান। যদি কেউ নিজে দুর্নীতি করে থাকে তাদের শাস্তি হোক। সিবিআই, ইডি তদন্ত করুক। মনে হয় দলীয় কোন্দলের স্বীকার তিনি। যারা রাজনীতিতে ইনোসেন্ট থাকেন তারা কিছু জানেন না তাদেরকে এইভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয় বলে আমি মনে করি।