রেলের আন্ডারপাসে জল জমে সমস্যা, মুক্তি পেতে অভিনব সমাধান এই ব্যক্তির...
২৪ ঘন্টা | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রদ্যুৎ দাস: শিক্ষা মানে শুধুই কাগজ-কলমের সার্টিফিকেট নয়। ফের তা চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিলেন জলপাইগুড়ির ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা কার্তিক চন্দ্র দাস। পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান কার্তিক বাবু নিজ চেষ্টায় তৈরি করেছেন আন্ডার পাসে জমে থাকা জল নিকাশের আধুনিক যন্ত্র। কিন্তু কেন হঠাৎ আন্ডার পাসের জল নিকাশের অত্যাধুনিক যন্ত্র বানানোর চিন্তাভাবনা?
কার্ত্তিক বাবুর কথায়, এক সময় রেল লাইনে জলপাইগুড়ি ৩ নং রেল গুমটিত (রেলের খাতায় নাম ও নং R.H 5 লেভেল ক্রসিংএ ) আটকা পড়ে পাশের অ্যাম্বুলেন্সে এক রোগীকে ছটফট করতে দেখেন তিনি। এমনকী কোনও এক সময় রানিনগর হাসপাতালের পাশে রেলের আন্ডার পাসে জল জমার কারণে গন্তব্য স্থানে না গিয়ে ফেরত আসতে হয়েছে। আন্ডারপাস বা রোড ওভার ব্রিজ না থাকায় রাস্তার ওপারে গিয়ে কিভাবে হাসপাতালে পৌঁছবেন তাতে নাজেহাল হতে হয় রোগীর পরিবারকে।সেই থেকেই এই ভাবনার জন্ম কার্ত্তিক বাবুর। দীর্ঘদিন ধরেই রেললাইনে আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। রোগীদেরও সমস্যা হয় হাসপাতালে পৌঁছতে। এলাকার বাসিন্দাদের বহুদিনের দাবি, একটি আন্ডারপাস তৈরির। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই? পাশাপাশি আন্ডার পাশের একটি মূল সমস্যা জল জমা। বৃষ্টির কারণে আন্ডারপাসে জল জমে গেলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের যেমন অসুবিধে হয়, তেমনই জল নিকাশের ক্ষেত্রেও যন্ত্রের মধ্যে জল ঢুকে যাওয়ার ভয় থাকে।সেই সমস্যারই সমাধান এবার কার্তিক বাবুর ভাস্কর্যে। তিনি এমন ভাবেই জল নিকাশে এই যন্ত্র তৈরি করেছেন যাতে যন্ত্রের মধ্যে জল ঢোকার কোনও ভয় না থাকে। আন্ডার পাশে জমে থাকা জল সহজেই নিষ্কাশিত হয়ে যাবে এই যন্ত্রের মাধ্যমে। কার্তিক বাবুর এমন কাজে খুশি এলাকার মানুষজন। আধুনিক এই যন্ত্র চাক্ষুষ করতে ইতিমধ্যেই কার্তিক বাবুর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। এই যন্ত্রের সঠিক ব্যবহার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে দেবে বলেই বিশ্বাস কার্তিক বাবুর। কার্তিক বাবুর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।