অবাককান্ড হলেও সত্যি, অস্ট্রেলিয়ার ফল ফলছে মালদায়
২৪ ঘন্টা | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রণজয় সিংহ: অস্ট্রেলিয়ার ফল ফলছে মালদায়। তাও আবার বিশ্বের সুপার ফ্রুটগুলির মধ্যে অন্যতম। বিদেশি এই ‘প্যাশন ফ্রুটের’ সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এখনও পরিচিত নয়। সেই ফল এখন মালদাতে ফলছে। অবাক হলেও এমনটাই সত্যি।বিদেশের বিখ্যাত ফল মালদা সফল ভাবে চাষ করছেন বামোনগোলা ব্লকের ছাতিয়ার বাসিন্দা কার্তিক রাম। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক। তবে শিক্ষকতার পাশাপাশি নিজের সামান্য জমিতে বিকল্প চাষ করে থাকেন। মূলত তিনি তাঁর জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করেন। তবে এবার তিনি বিদেশের প্যাশন ফ্রুট চাষ শুরু করেছেন পরীক্ষামূলক ভাবে।
‘প্যাশন ফ্রুট’ মূলত আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সহ পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে চাষ হয়। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপকভাবে চাষ হয় ‘প্যাশন ফ্রুট’। বর্তমানে ভারতবর্ষের কেরালায় এই ফলের ব্যাপক চাহিদা। কেরালার সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই ফল খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে।মালদার কার্তিক রাম কেরালা থেকেই ‘প্যাশন ফ্রুটের’ চারা গাছ নিয়ে এসেছিলেন। ‘প্যাশন ফ্রুটের’ গাছ লতানো হয়। বেড়া বা কোনও মাচার উপর হয়।গাছের বৃদ্ধি এমনকি ফল ভাল হচ্ছে। বছরে দুই বার ফল হয়। ‘প্যাশন ফ্রুটের’ স্বাদ অনান্য ফলের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বাইরে থেকে ফল দেখতে অনেকটা মহাকালের ফলের মত। ফলের ভেতরে থকথকে জেলির মত খাদ্য অংশ রয়েছে। ছোট ছোট অনেক বীজ থাকে জেলির মধ্যে। এই ফলের স্বাদ টক। জেলি অংশ ও বীজ দুটোই খাওয়া যায়। টক জাতীয় এই ফলের উপকারিতা অনেক রয়েছে।তবে এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ এই ফলের সাথে তেমনভাবে পরিচিত নয়। তাই এই ফল বাংলায় বেশি বিক্রিও হয় না। তবে অন্যান্য জায়গায় এই ফলের চাহিদা ব্যাপক এবং দামও প্রচুর। কেরালার বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় ‘প্যাশন ফ্রুট’।বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ফলের পরিচিতি হলে এখানেও ব্যাপক বিক্রি হবে আশাবাদী রাজ্যের প্রথম ‘প্যাশন ফ্রুট’ চাষী কার্তিক রাম। জেলা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বাগিচা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, ‘মালদা জেলা আম-লিচুর জেলা হিসাবে পরিচিত। তবে বিকল্প ফল চাষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতীয় ফল নয়। বিদেশী ফল অর্থাৎ ‘প্যাশন ফ্রুট’ চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে। এই ‘প্যাশন ফ্রুটে’প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। আছে আয়রনও’।