• টেকনো স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান জমজমাট
    আজকাল | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: অভিভাবকদের বিশ্বাস আর ভরসাকে পাথেয় করে জলপাইগুড়িতে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুল প্রায় এক যুগের দোরগোড়ায়। ২০১৩ সালে জলপাইগুড়ি শহরে পথচলা শুরু হয় এই স্কুলের। শনিবার স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সেই স্মৃতি রোমন্থন করেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সত্যম রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‌আমাদের পড়ুয়ারা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে। যেখানে যাই সেখানেই পড়ুয়াদের খুঁজে পাই। এটা আমাকে প্রতিমূহূর্তে ভালো রাখে। ভালো লাগে এটা ভাবতে, কিছু হলেও করতে পেরেছি। এজন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত সকলের ভূমিকা রয়েছে।’‌ বার্ষিক‌ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে শনিবার বর্ণাঢ্য‌ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন সরস্বতী বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ-এর কো চেয়ারপার্সন মৌ রায়চৌধুরী। স্কুলের প্রিন্সিপাল নন্দিনী দাশগুপ্ত, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাস্কর রায়, প্রধান অতিথি জলপাইগুড়ি সদরের এসডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ মিশন জলপাইগুড়ির জিতু মহনন্দজী মহারাজ, অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক দেবপ্রিয় বসু–সহ অন্যান্য অতিথিদের ধন্যবাদ জানান এমডি। তিনি বলেন, ‘‌আসলে আজকে অভিভাবকেরাই হলেন বিশেষ অতিথি। তাঁদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ। ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও প্রিয় ছাত্রছাত্রীদেরও ধন্যবাদ।’‌ তিনি বলেন, ‘‌আজ আমার মনে পড়ছে স্কুল দিনের কথা। আমার কিশোরবেলাকে খুঁজে পাই। সবাই শুরু থেকে যেভাবে ছিলেন, সেই সঙ্গে অভিভাবকেরা যেভাবে আমাদের ওপর বিশ্বাস ও ভরসা রেখে সন্তানদের এখানে পাঠিয়েছেন, আমরা কথা রাখতে চেষ্টা করেছি। চূড়ান্ত শিখরে যাতে তোমরা পৌঁছতে পারো, সেই চেষ্টা আমাদের থাকে। লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া আমাকে প্রতিটি মূহূর্ত ভালো থাকার আশা জাগায়।’‌ মৌ রায়চৌধুরীকে জলপাইগুড়ির টেকনো স্কুলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‌বিগত কয়েক বছরে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিহাস তৈরি করেছে টেকনো ইন্ডিয়া‌ স্কুল। বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি খেলাধুলার দিকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে এই স্কুল।’‌ এদিন স্কুলের পড়ুয়ারা নাচ–গান, আবৃত্তি–সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
  • Link to this news (আজকাল)