অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে গলল বরফ, নির্বাচনে দাঁড়াতে রাজি দেব!
২৪ ঘন্টা | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রবীর চক্রবর্তী: বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা ছিল তুঙ্গে, রাজনীতি ছাড়তে পারেন দেব(DEv)। অবশেষে শনিবার হল সেই জল্পনার অবসান। এদিন ঠিক সাড়ে ৪ টের সময় ক্যামাক স্ট্রীটে তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) সঙ্গে দেখা করতে যান দেব। প্রায় ৫০ মিনিট পর অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সেরে বের হন দেব। সূত্রের খবর সেই বৈঠকেই গলল বরফ।সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে তৃণমূল সাংসদ-অভিনেতা দেব কথা দেন যে যদি দল চায়, তাহলে ফের ভোটে দাঁড়াবেন তিনি । দল যেখানে তাঁকে প্রার্থী করবে, সেখান থেকেই নির্বাচনে লড়বেন তিনি। এখান থেকেই শুরু আরেক জল্পনার। তাহলে কি ঘাটাল থেকেই লড়বেন তিনি, নাকি অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে লড়বেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে এখনই কিছু জানা যায়নি।
অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই কালীঘাটে যান দেব। সূত্রের খবর, সেখানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেব জানান যে দল যেখানে চাইবে, সেই কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়তে রাজি অভিনেতা -সাংসদ। বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা গিয়েছিল যে তৃণমূল থেকে সরে যেতে পারেন অভিনেতা। শনিবার সেই জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে দিলেন দেব। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই আচমকা ঘাটালের তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দেন দেব। এরপর সংসদে হাজির হয়ে দেব বলেন যে তিনি যা জানানোর দিদি অর্থাত্ মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন। পাশাপাশি ওইদিনই ইনস্টাগ্রামে তিনি পোস্ট দেন যে 'আর কিছুক্ষণ'। সেখান থেকে অনেকেই অনুমান করে নেন যে হয়তো আর ভোটে দাঁড়াবেন না দেব। তবে অবশেষে সব জল্পনার ইতি। বৃহস্পতিবারই ছিল দেবের পার্লামেন্টের শেষ সেশন। বিদায়ী ভাষণের পর পার্লামেন্টের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর রাজনীতিতে থাকা না থাকা প্রসঙ্গে দেব বলেন, 'আমার শেষদিন আজ পার্লামেন্টে। দলটা আমার বাবার নয়, দলটা চালানোর লোক আছে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন। আমি চাইলেই টিকিট দেবে না, আমি চাইলেই ছেড়ে চলে যাব, সেটাও সম্ভব নয়। এত সোজা নয়, এত সোজা হলে আমাদের দেশে অনেক আগে অনেক কিছু হয়ে যেত'।সামনেই ভোট, সেই প্রসঙ্গে সাংসদ দেব বলেন, 'আমরা সবাই শান্ত, সুস্থ সমাজ চাই। আগামী নির্বাচন সেটা মাথায় রেখে হওয়া উচিত। শুধু বাংলায় নয় সারা ভারতেই শান্তিতে ভোট হওয়া উচিত। এটা হিন্দু-মুসলিম, মন্দির-মসজিদ করা উচিত নয়। মানুষ কীভাবে শান্তিতে, নির্ভয়ে, উন্নয়নে থাকে, সেটা মাথায় রেখেই ভোট হওয়া উচিত'।