• কাউকোর প্রত্যাবর্তন, চার ম্যাচ পরে জয়ে ফিরল বাগান
    আজকাল | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • মোহনবাগান - ২ (অনিরুদ্ধ, কামিন্স) হায়দরাবাদ এফসি- ০সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: বিরতির পর সবে শুরু হয়েছে ম্যাচ। হঠাৎই কাউকো, কাউকো রব যুবভারতীতে। ডাগআউট থেকে উঠে ওয়ার্ম আপ শুরু করতেই উত্তেজিত যুবভারতীতে উপস্থিত সবুজ মেরুন জনতা। শনিবার সকাল থেকেই হুগো বুমোস, জনি কাউকোকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ছিল। অবশেষে ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় আবার সবুজ মেরুন জার্সিতে প্রত্যাবর্তন হল। চোট সরিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় পর মাঠে ফিরলেন কাউকো। তাঁর প্রত্যাবর্তনের দিন জয়ে ফিরল মোহনবাগান। শনিবার ঘরের মাঠে হায়দরাবাদকে ২-০ গোলে হারাল সবুজ মেরুন। আইএসএলে চার ম্যাচ পর জয়। কলকাতায় তৃতীয় ইনিংসে আন্তোনিও হাবাসের প্রথম। এদিন গোল করেন অনিরুদ্ধ থাপা এবং জেসন কামিন্স। তবে পাঁচ গোলে জিততে পারত মোহনবাগান। কিন্তু বিদেশিহীন তরুণ প্রতিপক্ষকে সামনে পেয়েও একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করেন কামিন্স, দিমিত্রি, মনবীররা।‌ যার ফলে বাড়ল না গোল সংখ্যা। তবে ফেরান্দো পরবর্তী যুগে জয়ে ফিরে খুশি বাগান সমর্থকরা। ১২ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে এল বাগান।শনিবার তিন বিদেশিকে নিয়ে শুরু করেন হাবাস। চোটের জন্য খেলতে পারেননি ব্রেন্ডন হামিল। কার্ড সমস্যায় ছিলেন না আর্মান্দো সাদিকুও। বিপক্ষে কোনও বিদেশি নেই। ছোটে, হামার, রাবির মতো তরুণদের নিয়ে দল সাজান থংবয় সিংটো। সুপার কাপের মতো বেগ দিতে না পারলেও, হায়দরাবাদের তরুণ ব্রিগেডের গতিতে মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়ে যায় বাগান। ম্যাচের ১৩ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন অনিরুদ্ধ থাপা। দিমিত্রির কর্নার থেকে মনবীরের ফ্লিক ধরে ডান পায়ের শটে গোল। সবুজ মেরুন জার্সিতে দুরন্ত ছন্দে না পাওয়া গেলেও কাজের কাজটা করলেন থাপা। এক মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ক্রসপিসের ওপর দিয়ে ভাসিয়ে দেন কামিন্স। ২০ মিনিটে সাইড নেটে মারেন সাহাল। প্রথমার্ধে বার দুয়েক গোলের সুযোগ পায় হায়দরাবাদ। গতি বাড়িয়ে বেশ কয়েকবার বিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়ে। ২৭ মিনিটে হামারের শট বাঁচান বিশাল কাইত। প্রথমার্ধে অন্তত তিন গোল দিতে পারত সবুজ মেরুন। কিন্তু বিরতিতে স্কোরলাইন ১-০ ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে দুর্বল হায়দরাবাদকে পেয়ে মুহুর্মুহু আক্রমণ শানায়। বিরতির পরপরই ব্যবধান বাড়ে। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে পেত্রাতোসের থেকে মনবীরের পা হয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল জেসন কামিন্সের। মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে বিতর্কিত ম্যাচে শেষবার গোল করেছিলেন। দেড় মাস পর আবার গোলে ফিরলেন অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার।তবে হ্যাটট্রিক মিস করেন। বিশ্বকাপার হয়েও বিদেশিহীন ডিফেন্সের বিরুদ্ধে এত সুযোগ নষ্ট। একাধিক গোল নষ্টের আফশোস হাবাসের গলায়। তবে কামিন্সের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না। হাবাস বলেন, "আমরা প্রচুর সুযোগ পেয়েছিলাম। বড় স্কোর হতে পারত। অন্তত ১৫-১৬টা গোলের সুযোগ পেয়েছিলাম। কামিন্স নিজেই ৫-৬ টা সুযোগ পেয়েছে। গোলে কনভার্ট করতে পারলে ওরও ভাল লাগত। তবে ও পাঁচটা গোল করে ফেলেছে। ভবিষ্যতে আরও গোল করবে। অস্ট্রেলিয়ান লিগে ও সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছে। বাকিদের মত জেসনের ওপরও আস্থা আছে।" হুগো প্রসঙ্গ উঠতে কিছুটা বিরক্ত হন বাগান কোচ। হাবাস বলেন, "সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না। খুব কঠিন ছিল। তবে এটা কোচ হিসেবে আমার সিদ্ধান্ত। অনেকদিন ধরেই এই নিয়ে কথাবার্তা চলছিল। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমার। বুমোস, বুমোস না করে জনি কাউকোর মতো একজন প্লেয়ারকে সম্মান করা উচিত।" গোয়ার বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ বাগানের। ছবি: অভিষেক চক্রবর্তী
  • Link to this news (আজকাল)