ভোটের আগে উত্তপ্ত ত্রিপুরা, অনির্দিষ্টকালের রেল ও সড়ক অবরোধের ডাক ...
আজকাল | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সমীর ধর: ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই পাল্টি খেল ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর সেই ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে ত্রিপুরা। ককবরকের লিপি বিতর্ক ঘিরে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে তিপ্রা মথা-র ছাত্র সংগঠন তুইপ্রা ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস ফেডারেশন এবং জয়েন্ট মুভমেন্ট কো-অর্ডিনেশন ফোরাম ফর ককবরক। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার প্রধান জনজাতীয় ভাষা ককবরক। প্রায় ৪০ বছর ধরে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ককবরক পরীক্ষার্থীদের জন্য দুটি লিপিকেই মান্যতা দিয়ে এসেছে। লোকসভা ভোটের আগে হঠাৎই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করে কেবলমাত্র বাংলা লিপিতেই ককবরক লিখতে হবে। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ ওঠে সংশ্লিষ্ট মহলে। এমনকি বলা হয়, রোমান লিপিতে উত্তর লিখলে পরীক্ষার্থীর নামে পুলিশে এফআইআর করা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্র পরিচালকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। ছাত্র বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ নামায় সরকার। রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের মুখে পড়ে অবশেষে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পর্ষদ। বলা হয়, বাংলা এবং রোমান দুই লিপির যে কোনও একটিতে দশম ও উচ্চমাধ্যমিকের ককবরক ভাষার পরীক্ষায় উত্তরপত্র লিখতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই পাল্টি খেয়ে পর্ষদ সভাপতি ধনঞ্জয় গণচৌধুরী জানান, বাংলা লিপিতেই ককবরক ভাষার পরীক্ষা দিতে হবে। অভিযোগ, একদিকে রাজ্য সরকারের চাপ অন্যদিকে ছাত্র-বিক্ষোভ, এই দুইয়ের মাঝখানে পড়ে পর্ষদ সভাপতিকে ঘন ঘন কথা বদলাতে হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অবরোধ আহ্বানকারীরা দুদিন সময় দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রোমান লিপির লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে বলেছেন। অন্যদিকে, রাজ্যবাসীকে ঘরে নিত্যপণ্য মজুত রাখার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স এবং বিয়ের গাড়ি ছাড়া আর কোনো গাড়ি আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কে চলতে দেওয়া হবে না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস সাহা বলেছেন, জনজাতীয় দলগুলোর সঙ্গে কংগ্রেসও ২০০১ সালে ককবরকের রোমান লিপির দাবি করেছিল। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আগের এবং বর্তমান, দুই সরকারই দায়ী বলে তাঁর অভিমত। সিপিএম পরিষদীয় নেতা জিতেন চৌধুরি বলেন, বিজেপি তাদের হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্থান লক্ষ্য সামনে নিয়েই রাজ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে।