জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতারক! ২২ বছর পর ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে মেতে উঠেছিলেন যাঁরা, সেই বাবা-মায়ের ভুল ভাঙল এবার। ১৩ কুইন্টাল খাদ্যশস্য ও মোবাইল নিয়ে উধাও হয়ে গেল 'সন্ন্য়াসী'। ঘটনাস্থল, উত্তরপ্রদেশের আমেঠি।
জানা গিয়েছে, দিল্লির বাসিন্দা রতিপাল সিং ও তাঁর স্ত্রী ভানুমতি। তাঁদের ছেলে পিঙ্কু। দিনভর খেলাধুলা নিয়ে মেতে থাকত সে। শেষে বাবা-মায়ের কাছে বকুনি খেয়ে বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন পিঙ্কু। কবে? ২০০২ সালে। এরপর ছেলের আর খোঁজ পাননি পরিবারের লোকেরা।পেরিয়ে গিয়েছে ২ যুগ। দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে দেখা মেলে পিঙ্কুর। গ্রামে নিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে নাকি মায়ের খোঁজ করছিলেন তিনি। খবর পেয়ে আর দেরি করেননি। দিল্লি থেকে আমেঠিতে পৌঁছন রতিপালও ভানুমতি। শরীরের একটি দাগ দেখে ছেলেকে চিনতে পারেন মা। তারপর? মায়ের কাছ থেকে ভিক্ষা নিয়ে ফিরে যান সন্ন্যাসীরূপী সেই ছেলে।বলে গিয়েছিলেন, তাঁদের সম্প্রদায়ে নির্দিষ্ট সময় পর মায়ের কাছে ভিক্ষাগ্রহণ করতে হয়। সেই নিয়ম পালন করতেই ফিরেছেন। তাঁকে ভিক্ষা হিসেবে ১৩ কুইন্টাল খাদ্য়শস্য দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরাও। পিঙ্কুকে ১১ হাজার টাকা দিয়ে মোবাইল কিনে দেন পিসি।তাহলে? রতিপাল জানিয়েছে, দিন দুয়েক আগে ছেলে ফোনে জানান, বাড়ি ফিরতে চান। কিন্তু যে ধর্মীয় সংগঠনের আশ্রয়ে থাকেন, সেই ধর্মীয় সংগঠনের তরফে ১১ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে। টাকা দিলেই ঘরে ফিরতে পারবেন। প্রথমে রাজি না হলেও, স্ত্রীর চাপে শেষপর্যন্ত টাকর ব্যবস্থা করেন রতিপাল। কিন্তু টাকা নিয়ে যখন মঠে যাওয়ার কথা বলেন, তখন আপত্তি করেন ছেলে! অনলাইনে টাকা পাঠিয়ে দিতে বলেন তিনি। কেন? পুলিসের দ্বারস্থ হন রতিপাল। তদন্তে জানা যায়, পিঙ্কুর পরিচয়ে যিনি সিংহ পরিবারে এসেছিলেন, তিনি আদৌ তাঁদের হারানো সন্তান নন। এমনকী, ঝাড়খণ্ডের যে মঠের কথা বলেছিলেন, সেটিও ভুয়ো। ওই যুবকের আসল নাম নাফিস। বাড়ি, উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা গ্রামে। ২০২১ সালে একই কায়দায় এক পরিবারের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ভাই রশিদও।