• বাংলাদেশের নতুন সরকার থেকে হিলির স্লট বুকিং; কমেছে দৈনিক রফতানি এবং রাজস্ব আয়
    ২৪ ঘন্টা | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • শ্রীকান্ত ঠাকুর: খাদ্যদ্রব্য, দানাশস্য, পাথর সহ চাল ডাল সবক্ষেত্রেই পণ্য রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে পন্য পরিবহনের আগেই স্লট বুকিং-এর নতুন পদ্ধতি চালু করেছে রাজ্য সরকার। এর উপরে বাংলাদেশের ভোট ও বিদেশী মুদ্রার স্বল্পতা। এই সব সমস্যার কারনে পন্য পরিবহন কমেছে হিলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বন্দর দিয়ে।এক বছর আগেও যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে রফতানি করত। এখন সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০টি ট্রাক বাংলাদেশে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের যেমন মাথায় হাত পড়েছে তেমনি প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব লোকসান হচ্ছে সরকারের।

    অবশ্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা আশাবাদী আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আবার পুরনো মেজাজেই চলবে পণ্য পরিবহন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক। আরও সহজ করা হোক পণ্য পরিবহন আইন।উত্তরবঙ্গের তিনটি নামকরা স্থলবন্দর মধ্যে রয়েছে হিলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বন্দর। এছাড়া মালদার মহদীপুর এবং জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি উত্তরবঙ্গের এই তিন স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রফতানি হয় বাংলাদেশে।সাধারণত ডাল, পেঁয়াজ, চাল, পাথর, পশু খাদ্য এবং দানাশস্য রফতানি হয় এই সমস্ত বন্দর দিয়ে। কিন্তু বিভিন্ন সময় দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সাম্যতা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের রফতানিতে বিধি-নিষেধ আরোপ করে। তেমনি রাজ্য সরকার রফতানির ক্ষেত্রে স্লট বুকিং প্রক্রিয়া শুরু করেছে।কেন্দ্রের বিধি নিষেধ থাকায় বেশ কিছু পণ্য রফতানি করা যাবে না তার উপর রাজ্য সরকারের আরোপ করা নতুন পদ্ধতিতে যে কোনও রপ্তানি পণ্য রফতানির আগে রাজ্যের নির্দিষ্ট পেজে অনলাইনে টাকা জমা দিয়ে স্লট বুকিং করতে হবে। এবং সেই ক্ষেত্রে ১০০০০ টাকা প্রতি গাড়ি হিসেবে স্লট বুকিং-এর জন্য দিতে হয় রফতানিকারিদের।আগে এই পদ্ধতি ছিল না। নির্দিষ্ট কাগজপত্র দেখিয়ে স্থানীয় ট্যাক্স অফিসে ট্যাক্স দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি সীমান্ত পেরতে পারতো। যদিও স্লট বুকিং-এর পদ্ধতি চালু হওয়ায় স্বচ্ছতা এসেছে পরিবহনে এটা মেনে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ।হিলির ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মহদীপুর ও ফুলবাড়ির তুলনায় হিলির স্লট বুকিং এর ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ বেশি।জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের মতে রাজ্য সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাংলাদেশের নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার ফলে দ্রুত পণ্য পরিবহনের এই সমস্যা মিটে যাবে এবং আগে যেভাবে প্রতিদিন গাড়ি যাতায়াত করতো তত সংখ্যক গাড়ি আবার পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে যেতে পারবে। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)