• বিহারে আস্থাভোটে জয় নীতীশের, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিরোধীদের
    আজ তক | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • আজ বিহারের রাজনীতির জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। বিধানসভায় পেশ করা আস্থা ভোট জিতেছে নীতীশ সরকার। NDA-র পক্ষে মোট ১২৯টি ভোট পড়েছে। এরই মধ্যে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিরোধীরা। এর আগে পাটনায় দেখা গেছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। আরজেডি এবং কংগ্রেস সহ মহাজোটে অন্তর্ভুক্ত সমস্ত বিধায়কদের পাটনার তেজস্বী বাসভবনে রাখা হয়েছিল, এবং বিজেপি-জেডিইউ বিধায়কদের রাখা হয়েছিল চাণক্য হোটেল এবং পাটলিপুত্র হোটেলে। 

    বিহার বিধানসভায় মোট ২৪৩টি আসন রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যা হল ১২২, যেখানে NDA-র ১২৮ বিধানসভা সদস্য রয়েছে। যার মধ্যে বিজেপির রয়েছে ৭৮টি আসন, জেডিইউর রয়েছে ৪৫টি আসন, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) ৪টি আসন এবং একজন স্বতন্ত্র বিধায়ক সুমিত সিংও রয়েছেন। যেখানে বিরোধীদের ১১৪ জন বিধায়ক রয়েছে। এতে আরজেডির ৭৯ জন, কংগ্রেসের ১৯ জন, সিপিআই (এমএল)-এর ১২ জন, সিপিআই (এম)-এর ২ জন, সিপিআই-এর ২ জন বিধায়ক রয়েছেন।

     বিহারের রাজনীতি সংক্রান্ত বড় খবর সামনে এসেছে। বিধানসভায় আস্থা ভোট জিতেছেন নীতিশ কুমার। ডেপুটি স্পিকারসহ আস্থা ভোটের পক্ষে ১৩০টি ভোট পড়ে। আস্থা ভোটে ভোটের সময় বিরোধীরা ওয়াকআউট করে।  

    নীতীশকে বড় আক্রমণ করেন তেজস্বী
    রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই নীতীশকে তীব্র আক্রমণ করেন তেজস্বী। তেজস্বী বলেন, এক মেয়াদে  তিনবার ইউ টার্ন নেওয়া কোথাও দেখা যায়নি। নয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন নীতীশ কুমার। নীতীশ কুমারেরও নিশ্চয়ই রাজা দশরথের মতো কিছু বাধ্যবাধকতা ছিল।

    তেজস্বী বলেছিলেন যে নীতীশ শ্রদ্ধার আসনে  আছেন এবং থাকবেন। আমরা বিহারের যুবকদের চাকরি বিতরণ করেছি, যা অসম্ভব ছিল তা সম্ভব হয়েছে। আমরা দুই লাখ লোকের কর্মসংস্থান করেছি। সবাই জানতে চায় নীতীশ কেন পক্ষ পরিবর্তন করেছে। দশরথ নয়, কৈকেয়ী রামকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন, নীতীশ কুমারকে বোঝাতে হবে কৈকেয়ী কে। নীতীশজি একবার বলতেন আলাদ হতে চান।

    জেডিইউ এবং আরজেডি অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য চেষ্টা করছিল
    অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে এনডিএ এবং মহাজোটের মধ্যে চেক-মেটের খেলা অব্যাহত ছিল এবং উভয় জোটই তাদের নিজ নিজ বিধায়ককে প্ররোচিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। গত কয়েকদিন ধরে, জেডিইউ এবং বিজেপির কিছু বিধায়ক বিদ্রোহ করতে পারেন বলে আশঙ্কা ছিল।
  • Link to this news (আজ তক)