• অসাধারণ এই ছবি শেয়ার করে রেলমন্ত্রী লিখলেন 'ডিভাইন ভিউ'! কোথাকার ছবি'
    ২৪ ঘন্টা | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো একটি ছবি শেয়ার করেছেন, সঙ্গে লিখেছেন 'ডিভাইন ভিউ'! কোথাকার ছবি? অযোধ্যা ধামের ছবি।

    রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) অযোধ্যার একটি ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিটি অযোধ্যা ধাম জংশন রেলওয়ে স্টেশনে থেকে নেওয়া। তিনি ছবিটির ক্যাপশনও করেছেন। সেখানে লিখেছেন 'ডিভাইন ভিউ' শব্দদুটি! প্রসঙ্গত, গত ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন হলেও তার আগে ডিসেম্বরেই এই অযোধ্যা ধাম জংশন রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। রেলস্টেশনটি তিন-তলা। ২৪০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছে স্টেশনটি।পরে ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়ে রামলালার। একটি মাত্র কালো পাথর কেটে রামলালার মূর্তি তৈরি করেছেন কর্ণাটকের শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। প্রাণপ্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গেই বহুমূল্য গহনায় সাজানো হয়েছিল রামলালাকে। বিগ্রহকে সাজাতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫ কেজি সোনা। বিগ্রহের গহনা তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছিল ১৮,০০০ পান্না ও হিরে। ওইসব রত্নের উপরে অত্যন্ত যত্নে খোদাই করা হয়েছে রামায়ণের শ্লোক। রামলালাকে সাজানো হয়েছিল তিলক, মুকুট, ৪টি নেকলেস, একটি রিস্ট ব্যান্ড, এক জোড়া অ্যাঙ্কলেট, একটি বিজয় মালা, দুটি আংটি। এসব দিয়ে সাজাতে লেগেছিল ১২ দিন। রামলালার গহনা তৈরি দায়িত্ব ছিল লখনউয়ের এক জুয়েলারির উপরে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার ১৫ দিন আগে ওইসহ গহনা তৈরির বরাত দেওয়া হয় ওই জুয়েলারিকে। পাঁচ বছরের বালকের মাথায় ফিট করে এমন মাপের মুকুট তৈরি করা হয়। মুকুটির ওজন ১.৭ কেজি। ২২ ক্যারেটের সোনা ও ৭৫ ক্যারেটের হিরে দিয়ে তৈরি হয়েছে মুকুটটি। ১৭৫ ক্যারেটের জাম্বিয়ান পান্না ও ২৬২ ক্যারেটের রুবি রয়েছে ওই মুকুটে। মুকুটের নীচেই রয়েছে তিলক। এটি তৈরি হয়েছে ১৬ গ্রাম সোনা দিয়ে। এটির দুই পাশে লাগানো হয়েছে ১০ ক্যারেটের হিরে। তিলকের উজ্জলতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয়েবে বার্মিজ রুবি। রামলালার হাতে রয়েছে ৬৫ গ্রামের একটি আংটি। এতে রয়েছে ৪ ক্যারেটের হিরে, ৩৩ ক্যারেটের পান্না, আংটির মাঝে রয়েছে জাম্বিয়ার একটি বড় পান্না।অযোধ্যার রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরেও দেশ জুড়ে চলছে রামমন্দিরের প্রতি মুগ্ধতার রেশ। রামমন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বালক রামের মূর্তি। দেশ জুড়ে প্রশংসিত পূজিত বন্দিত এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ। রামমন্দিরের সৌন্দর্য দেখে যেমন আপ্লুত ভক্তরা, তেমনই মূর্তিশিল্পীর নিপুণতা দেখেও মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কালোশিলা খোদাই করে রামের এমন স্বর্গীয় রূপসৌন্দর্য কীভাবে ফুটিয়ে তুললেন শিল্পী? শিল্পী নিজে কী বলছেন? মূর্তিশিল্পী ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ বলেছেন, রামের মূর্তি কেমন হবে, সে সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাও ছিল না। কাজটি করতে-করতেই তিনি যেন ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে জন্ম দিতে থাকেন শ্রীরামের অবয়ব, ভাব, রূপ, সৌন্দর্য‌!
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)