জলের চাপ পড়তেই ২ দিনে ভেঙে পড়ল নবনির্মিত জলের ট্যাঙ্ক
২৪ ঘন্টা | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রণজয় সিংহ: এবারে আইএসএফ পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। উদ্বোধনের মাত্র দুইদিন পরই ভেঙে পড়ল সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত পানীয় জলের ট্যাঙ্ক। ঘটনা মালদার কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের।
এই প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কালিয়াচকে বোর্ড গঠন করেছে বিধায়ক নৌসাদ সিদ্দিকীর দল আইএসএফ। কিন্তু সরকারি অর্থ ব্যয় করতে গিয়ে শুরুতেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। পানীয় জলের প্রকল্পের কাজে কাট মানি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী তৃণমূল। যদিও ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের আইএসএফ প্রধান আবু জাহিদের দাবি আমাদের বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করছে।স্থানীয়দের দাবি, দুই দিন আগে জনসাধারণের ব্যবহার করার জন্য তিন লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি জলের ট্যাঙ্ক এর উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু দুইদিনের মধ্যে জলের ট্যাঙ্কের নিচের তলা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে যায়। এই নিয়ে এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মাসুদ আলম বলেন, প্রধান ঠিকাদারের নিকট থেকে ৫০% করে করে কাট মানির টাকা নিচ্ছে। যার ফলে কাজের এই অবস্থা।গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা কুরবান আলি বলেন, আইএসএফ প্রধান ও ঠিকাদার মিলে একেবারে দূর্নীতি করেছে। সরকারের টাকা লুটেছে। ১৮ এমএম রডের জায়গায় ১০ এমএম করে রড দিয়ে কাজ করছে। সমস্ত সরঞ্জাম কম দেওয়ার জন্য ট্যাংক ভেঙ্গে পড়েছে।নির্মীয়মান ট্যাংক ভেঙ্গে পড়ার ব্যাপারে নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট অমিত কিসকু বলেন, আমরা রাত্রে খবর পেয়েছি একটি নির্মীয়মান জল ট্যাংকে জল দেওয়ায় সে ট্যাংকের নিচে তলা ভেঙে পড়েছে। সকালে আমরা গিয়ে দেখে এসেছি। এই ট্যাংক নির্মাণ নিয়ে আমরা তদন্ত করব ও যদি ঠিকাদার দোষ খুঁজে পাই তাহলে ঠিকাদারি সংস্থার লাইসেন্স ব্লাকলিস্ট করার প্রক্রিয়া করব এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত রিপোর্ট জমা করবো। নিজের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। এর পেছনে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।