University Of Oxford : বক্তৃতা দেওয়ার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর কাছে আমন্ত্রণ এসেছে। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিনি অক্সফোর্ড যাচ্ছেন বলে সোমবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সোমবার ভবানীপুর মর্ডান স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘স্মৃতি বিজড়িত স্কুলে এসে আমি বলতে পারি, আমাকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গতকাল আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। তাঁরা আমায় বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ডেকেছেন জুন মাসে। এছাড়া লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স পড়ুয়ারা আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছে। আমি ঠিক করেছি, আমি এখানে যাব। কারণ, এটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ, এটাকে ফেরানো যাবে না।’যদিও, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গত নভেম্বর মাসে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। নভেম্বর মাসে বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এবং সহ উপাচার্য জোনাথন মিকি উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে যান। সেই আমন্ত্রণের অফিসিয়াল চিঠি গতকাল তাঁর কাছে এসে পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে।প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালেও অক্সফোর্ড ইউনিয়ন থেকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ২০১৭ সালেও অক্সফোর্ড ইউনিয়ন থেকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছিলেন। তার আগে ২০১০ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও আমন্ত্রণ পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ডাক পান। তবে এর আগে কোনও অনুষ্ঠানেই নানা কারণে যোগ দিতে পারেননি তিনি। তবে এবার তিনি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। মাঝে গোটা দেশ জুড়ে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। স্বাভাবিক ভাবেই, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকবেন তিনি। এরপর জুন মাসের আমন্ত্রণে তিনি যাবেন বলেও জানান।এদিনের অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের পড়ুয়াদের ইংরেজি পড়ার ব্যাপারে আরো বেশি আগ্রহী হওয়ার জন্যেও আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের পড়ুয়ারা বাংলা, ইংরেজি দুটোই পড়তে চায়। বাংলাতেও জোর দেওয়া হবে। ইংরেজিতেও জোর দেওয়া হবে। কারণ, ৩৪ বছর ইংরেজি না পড়ে আজকে যাঁরা বড় জায়গায় কাজ করে তাঁরা ভালো ইংরেজিতে ড্রাফট করতে পারে না। অনেক অফিসারদের ট্রেনিং দিতে হয়। আগামী দিনে যুব সম্প্রদায়কে এই সমস্যার যেন সম্মুখীন না হতে হয়।’