'আমি যখন এই স্কুলে পড়াতাম, তখন আমি ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রী, মানে আমার সঙ্গে স্টুডেন্টদের গ্যাপ (বয়সের ব্যবধান) ছিল ৫-৬ বছরের', ভবানীপুর মর্ডান স্কুলের উদ্বোধনে গিয়ে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অতীতের বিভিন্ন স্মৃতি রোমন্থন করতে দেখা যায় তাঁকে। মমতা বলেন, 'আমিও স্টুডে্ট ছিলাম সেই সময়। হাতখরচ চালানোর জন্য..., বাবা সবে মারা গিয়েছেন। এই চাকরিটা পেয়ে গেলাম, তখন মাইনে দিত ৬০ টাকা। ক্লাস ৮ পর্যন্ত ছিল। আমার অনেক ছাত্রছাত্রীরা আজকে দেখতে পাচ্ছি, এখানে এসেছে। অনেক দূর দূর থেকে এসেছে। তারা এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলে, 'আমি ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ার, থার্ড ইয়ারে যখন পড়ি, তখন আমি সকালে কলেজ করে এসে এখানে পড়াতাম। আর ছাত্রছাত্রীরা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি মার্কস পেত, সেই জন্য ওরা আমায় খুব ভালবাসত।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, বছর কয়েক আগে ফিরদাহ হাকিমকে এই স্কুলটির বিষয়ে জানিয়েছিলেন তিন, একইসঙ্গে নতুনভাবে কিছু করা যায় কি না, সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই কথার পরেই, বিষয়টি মিয়ে উদ্যোগী হন ফিরহাদ হাকিম। তারপর আলাদা করে ৪ কাঠা জমি কিনে, ৫ কোটি টাকা খরচ করে এই ৫ তলা বিল্ডিংটা খুব সময়ের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি চাই পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত, যাঁরা বাংলা ইংরেজি দু'টোই শিখতে চায়, পর্যন্ত বাংলাও থাকবে, ইংরেজিও থাকবে, বাংলাতেও জোর দেওয়া হবে, ইংরেজিতেও জোর দেওয়া হবে। কারণ প্রায় ৩৪ বছর একদম ইংরেজি না পড়ে, যাঁরা আজকে বড় জায়গায় কাজ করেন, তাঁরা ভালো ইংরেজিতে ড্রাফট করতে পারেন না। অনেক অফিসারদের নতুন করে ট্রেনিং দিতে হচ্ছে। আগামীদিনে আমাদের যুব সম্প্রদায়কে যে এই পরিস্থিতির সম্মুখী হতে না হয়। তাদের এমন করে গড়ে তুলতে হবে... তাদের অনেক ভাষা শিখতে দিতে হবে। যত ভাষা জাতে তত তাদের মানসিক বিস্তার হবে।'অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ,জুন মাসে তাঁকে অক্সফোর্ডে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রবিবারই তাঁর কাছে এই বিষয়ে নিমন্ত্রণ এসেছে। আগামী জুন মাসে তাঁর সেখানে যাওয়ার কথা, এবং তিনি সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।