Hamas Israel Conflict : আল জাজিরার সাংবাদিক হামাসের কমান্ডার! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস ইজরায়েলি সেনার
এই সময় | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ আনল ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। সংবাদমাধ্যমটির এক সাংবাদিককে হামাস কমান্ডার বলে দাবি করেছে তারা। এই সংক্রান্ত একাধিক ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে তেল আবিব।এক এক্স বার্তায় ইজারায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচার আদ্রে জানিয়েছেন, মহম্মদ ওয়াশাহ নামে এক প্যালেস্তাইন নাগরিক হামাস বাহিনীর একজন সিনিয়র কমান্ডার। ওই ব্যক্তি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সাংবাদিক। গত জানুয়ারি মাসে ইজরায়েলি বিমানবাহিনীর অভিযানের সময় গাজায় মৃত্যু হয় তাঁর।ওয়াশাহের ল্যাপটপ থেকে ছবি সহ প্রমাণগুলি ইজরায়েলি সেনা উদ্ধার করেছিল বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র। বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন তিনি। আদ্রে আরও জানিয়েছেন যে উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ থেকে জানা গেছে ওয়াশাহ হামাসের অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল ইউনিটের একজন সিনিয়র কমান্ডার।আদ্রের অনুমান, ২০২২ সালের শেষের দিকে সংবাদমাধ্যমের ওই কর্মী হামাসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। সাংবাদিকতার আড়ালে বহু ব্যক্তি হামাসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।সংবাদিকতার আড়ালে হামাসকে মদত দেওয়ার অভিযোগে আল জাজিরার কড়া সমালোচনা করেছে আইডিএফ। নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পরিবর্তে হামাসকে সাহায্য না করার জন্য আবেদন জানিয়েছে তারা। এর ফল মারাত্মক হতে পারে বলেও দেওয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি।প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে গাজার রাফাহতে ইজরায়েলি সেনার বিমান হামলায় ওয়াশাহ সহ আল জাজিরার দুই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়। ঘটনা বিশ্বজুড়ের তেল আবিবের বিরুদ্ধে ওঠে সমালোচনার ঝড়। মৃত সাংবাদিকরা হামাসের সদস্যভুক্ত বলে দাবি করেছিল আইডিএফ। এবার মহম্মদ ওয়াশাহের বিরুদ্ধে প্রমাণ সামনে আনল ইজরায়েলি সেনা।আল জাজিরার সাংবাদিকদের আগে রাষ্ট্রসংঘের কর্মীদের বিরুদ্ধ হামাসকে মদতের অভিযোগ এনেছিল ইজরায়েল। গত জানুয়ারি মাসে এই সংক্রান্ত ৬ পাতার একটি গোয়েন্দা নথি প্রকাশ্যে এনেছিল তারা। তাতে বলা হয়েছে, গত বছর ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ভূখণ্ড ঢুকে হামলার সময় হামাসকে মদত যুগিয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের প্রায় ১৯০ জন কর্মী।প্রমাণ হিসেবে ১১জন কর্মীর ছবি তাদের কাছে বলেও দাবি করেছিল তেল আবিব। এরজন্য প্যালেস্তাইনকে ত্রাণ এবং অর্থ সাহায্যে আমেরিকা সহ ১০টি দেশ স্থগিত রেখেছে বলে দাবি করে ইজরায়েল। যদিও এই দাবি খারিজ করেছিল প্যালেস্তাইন। জেরুজালেমের বদনাম করতেই নেতানিয়াহুর দেশ মিথ্যা রটাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হ