• ঠিক যেন টর্নেডো! ধেয়ে আসছে ঝাঁক ঝাঁক মশা, দেখুন ভিডিয়ো
    এই সময় | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • পুনের মুলা মুথা নদীতে বৃদ্ধি পেয়েছিল জলস্তর। এরপরে নিজেদের রক্ষা করতে মশাদের ঝাঁক-কে দেখা গিয়েছিল উড়ে যেতে। দেখলে মনে হবে টর্নেডো। মশা টর্নেডোর সেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছে ভাইরাল। ভিডিয়োটি পুনের কেশবনগর এবং খারাদি গাভথান এলাকার বলে দাবি করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।কয়েক সেকেন্ডের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা গেছে, মুথা নদীর উপর মশার ঝাঁকের ঘূ্র্ণি। তারা ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছিল। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। জানা গিয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বর্ষার সময় এই মশার টর্নেডো দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু পুনেতে এই প্রথম মশার টর্নেডো দেখা গেল বলে দাবি করা হয়েছে।আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মশাদের এই কাণ্ড দেখে হতবাক তাঁরা। সাধারণত, রাশিয়ার মতো দেশে এরকম মশার টর্নেডো প্রায় দেখা যায়।নীতিন নামে পুনের খারাদি এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সম্প্রতি মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। এতে মশাবাহিত রোগ দেখা যেতে পারে বলে করেছেন আশঙ্কা। নীতিনের সুরে সুর মিলিয়েছেন আরেক বাসিন্দা অভিষেক-ও। খুব তাড়াতাড়ি এই মশার সমস্যা সমাধানের জন্য পুনে পুরসভার কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। মশা সমস্যার সমাধান না হলে, আগামী দিনে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।সম্প্রতি স্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে পুনের আবহাওয়া পরিস্থিতি মশার প্রজননের পক্ষে অনুকূল তৈরি করেছে। তাই শহরটিতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে করা হয়েছে উল্লেখ। কেশবনগরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মশার এই ঝাঁকের জন্য দায়ি প্রকৃতির উপর মানুষের হস্তক্ষেপ।তিনি জানিয়েছেন, নদী ও নর্দমায় যথেচ্ছভাবে নোংরা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে দূষিত হচ্ছে জল। সেই সঙ্গে যথেচ্ছভাবে কাটা হচ্ছে বন। এতে মশার বাসস্থানের ক্ষতি হওয়ায় ঝাঁকের সৃষ্টি করেছে। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার মতো রোগগুলির বাহক হচ্ছে মশা।মশার টর্নেডো দেখা দেওয়ার পর থেকে পুনের কেশবনগর এবং খারাডি এলাকায় এই রোদের প্রার্দুভাব বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মানুষদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। এই মশা টর্নেডো পুরো পুনে শহরেই ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে করছেন তারা।
  • Link to this news (এই সময়)