• Haldwani Incident: থমথমে হলদওয়ানি! ৩০০-রও বেশি বাড়িতে তালা, পাথর ছোড়ায় অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি পুলিশের
    এই সময় | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • থমথমে উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানি। সেখানকারা বনভুলপুরা নামে একটি এলাকায় বেআইনি মাদ্রাসা-মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রশাসন ও পুর আধিকারিকরা ওই অবৈধ মাদ্রাসা ও মসজিদ ভাঙতে গেলে বিরোধ বাধে। স্থানীয়দের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। আহত হন একাধিক পুলিশ আধিকারিক। পুলিশ আধিকারিকদের লক্ষ্য করে পাথর বর্ষণ চলে। বেশ কয়েকটি এলাকায় কার্ফু জারি হয়েছিল। জারি হয় ১৪৪ ধারাও। ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়। দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে হিংসা ছড়ানোর মূল পাণ্ডাকে। শনিবার থেকে কিছুটা শিথিল হয় সতর্কতা। তবে এলাকা এখনও থমথমে। ইতিমধ্যে বনভুলপুরা এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। যারা পুলিশকে লক্ষ্য় করে পাথর নিক্ষেপে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ তাদের মধ্যে অধিকাংশ জনই এলাকা ছেড়েছে বলে দাবি পুলিশের।বনভুলপুরায় এলাকায় ৩০০ বাড়িতে তালা ঝোলানো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকায় কার্ফু জারি হওয়ার পর লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়। অভিযোগ, এরপরও অনেকেই ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। অনেকে তো বাড়িতে তালা না ঝুলিয়েই রাতারাতি এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছে। এলাকার অনেক মানুষই পরিবার নিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে, খবর পুলিশ সূত্রে। হলদওয়ানি সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ যাদের চিহ্নিত করেছে তাদের অনেকেই পলাতক। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের পাকড়াওয়ে অন্য জেলায় পুলিশ আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে যারা সেইসব অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চলছে।অনেকে আবার হিংসা ছড়িয়ে পড়তেই ভয় পেয়ে এলাকা ছাড়েন বনভুলপুরার মাস্টারস গার্ডেন, ইন্দিরা নগর, ছোট লাইন, বদি লাইনসহ একাধিক এলাকা থেকে লোকজন বাড়িতে তালা ঝুলিতে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এলাকা খানিক শান্ত হওয়ার পরও অনেকে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বলে মনে করছে পুলিশ-প্রশাসন। মহিলা ও শিশু সহ অনেক পরিবারই উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য জেলায় চলে গিয়েছে। মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ ও পুর কর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। হামলাকারীরা বনভুলপুরা থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিশাল পুলিশ বাহিনী উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করে ও থানায় প্রবেশে বাধা দেয়। এরপরই বনভুলপুরার কাছে গান্ধী নগর এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। যেসব বাড়ির ছাদ থেকে পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছিল সেগুলিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিকেহলদওয়ানির যেখানে অবৈধ দখল অপসারণ করা হয়েছে সেখানে পুলিশ স্টেশন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
  • Link to this news (এই সময়)