• Bihar Floor Test : দুঃশ্চিন্তার শেষ হাসিতে, আস্থাভোট জিতে গদি রক্ষা নীতীশের
    এই সময় | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • সমস্ত জল্পনার অবসান। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা একের পর এক নাটকের শেষে বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হলেন নীতীশ কুমার। ভোটে অংশ নেয়নি বিরোধী শিবির। ওয়াকআউট করেছিল তারা। এর ফলে বড়সড় চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হল না NDA জোটকে। শুরু হল নীতীশের নতুন ইনিংস।আস্থা ভোটে জয়ী নীতীশসোমবার ছিল বিহার বিধানসভার আস্থা ভোট। আর এই আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে চড়েছিল রাজনীতির পারদ। আস্থা ভোট শুরুর আগে বিহার বিধানসভার স্পিকারের পদ থেকে RJD-র অবোধ বিহারী চৌধুরীর অপসারণকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ বাড়তে থাকে। কিন্তু, সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ হাসি হাসলেন নীতীশই। ১২৯ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে করলেন আস্থা অর্জন।উল্লেখ্য, ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ছিল ১২২। ১২৭ জন বিধায়কের সমর্থন তাঁদের দিকে আছে বলে দাবি করেছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু দেখা গিয়েছে, আরও দু'জন বেশি বিধায়কের সমর্থন আদায় করে নিতে পেরেছেন তিনি। এই বিধায়করা লালুর দল RJD-র বলে জানা গিয়েছে।বিহারের রাজনীতিতে ঝড় তুলে কিছুদিন আগেই ফের শিবির বদল করেন নীতীশ কুমার। ইন্ডিয়া জোটে ধাক্কা দিয়ে RJD-র সঙ্গে সমস্ত গাঁটছড়া ভেঙে তিনি ফের একবার BJP-র হাত ধরেন। বিহারে নবমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন, তবে এবার NDA জোটে। আস্থা ভোটের অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নীতীশ বলেন, ‘আমি ওঁদের সম্মান দিয়েছিলাম, তবে দুঃখ পেয়েছি, যখন জানতে পেরেছি, ওঁদের দুর্নীতিগুলো।’ বিহারের লালু প্রসাদ এবং রাবড়িদেবীর সরকারের তীব্র সমালোচনা শোনা যায় নীতীশের মুখে। তিনি বলেন, 'RJD-র আমলে বিহারে সবচেয়ে বেশি মুসলিমদের কথা বলা হয়েছে। হিংসাও হয়েছে সবচেয়ে বেশি।' ইন্ডিয়া জোট নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। নীতীশের কথায়, 'সকলকে এক করতে চেয়েছিলাম, শেষে কী হল দেখুন। আমি আমার পুরনো জায়গায় এসেছি, আর জায়গা বদল করব না।' তবে তাঁর এই প্রতিশ্রুতি কটাক্ষ করেন তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, 'নরেন্দ্র মোদী গ্যারান্টি দিতে পারেন নীতীশ কুমার আর পালটি খাবেন না?'
  • Link to this news (এই সময়)