• ‘রবীন্দ্রনাথের মাটিতে এটা হয় না’, সন্দেশখালি নিয়ে ‘সর্বোচ্চ ক্ষমতা’ ব্যবহারের হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের
    এই সময় | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • তাঁর যতটা সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে, সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে তিনি সন্দেশখালির শান্তি ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নেবেন। সোমবার সন্দেশখালিতে গিয়ে অত্যাচারিত গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পুলিশ প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি আবেদন জানাবেন বলেও আন্দোলনকারীদের আশ্বাস দেন রাজ্যপাল।সোমবার বিকেলে দিকে সন্দেশখালি গিয়ে পৌঁছন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি, এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আগামী দিনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আমার যা ক্ষমতা আছে, তা দিয়ে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ তিনি এও বলেন, ‘ আমি যখন মা - বোনদের সঙ্গে কথা বলেছি, শুনলাম যেটা বিশ্বাস করা যায় না। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় এটা হতে পারে না।’ এ ব্যাপারে রাজ্যের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলেও জানান রাজ্যপাল।কেরল সফর কাটছাঁট করে সোমবারই রাজ্যে ফিরেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট পেয়েই এদিন সেখান ছুটে যান রাজ্যপাল। এদিন প্রথমে ধামাখালিতে গিয়ে হাজির হন রাজ্যপাল। সেখানে কিছুই বিরতি নেওয়ার পর এরপর যান সন্দেশখালির প্রধান উপদ্রুত এলাকায়। কথা বলেন মানুষের সঙ্গে। কী পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে সেখানে? জানতে চান সাধারণ মানুষের কাছে।রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে দেখেই এগিয়ে আসেন গ্রামীণ মহিলারা। মুখে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাজ্যপালের কাছে হাত জোড় করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আর্জি জানান তাঁর। তাঁদের দাবি ছিল, যে কোনওভাবেই হোক শেখ শাহজাহান এবং তাঁর সাগরেদ শিবু প্রসাদ হাজরাকে গ্রেফতার করতে হবে। তাঁদের উপর অভিযুক্ত নেতাদের অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন মহিলারা।সন্দেশখালির ঘটনায় বিকাশের প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার স্ত্রী-রযদিও, সন্দেশখালি যাওয়ার পথে এদিন বাধার সম্মুখীন হতে হয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। বাসন্তী হাইওয়ে ধরে তাঁর যাওয়ার পথে রাজবাড়ি, সরবেড়িয়া, আকুঞ্জি পাড়া, মিনাখাঁ–সহ একাধিক এলাকায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। মূলত, একশো দিনের বকেয়া কেন্দ্রকে মেটানোর দাবি নিয়েই রাজ্যপালকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ সামিল হন তাঁরা।অন্যদিকে, এদিনই রাজ্য বিজেপির বিধায়করা সন্দেশখালি অভিযান করেন। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে একাধিক বিজেপি বিধায়ক এদিন সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন। তবে তাঁদেরকে পুলিশ আটকে দেয় বলে অভিযোগ। সন্দেশ খালির ৬০ কিমি আগেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। এর আগে সন্দেশখালি কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। অন্যদিকে, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে এদিন ১২ ঘণ্টা বনধ পালন করে সিপিএম।
  • Link to this news (এই সময়)