প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, ওই সাত জনকেই
পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ পাকড়াও করেছে। তাঁদের মধ্যে দুই মহিলাও রয়েছেন। ধৃতদের
কাছ থেকে মিলেছে ৪০ রাউন্ড গুলি, পাঁচটি দেশি পিস্তল, শাটার ভাঙার যন্ত্র এবং
অস্ত্রশস্ত্র। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গত বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে
সোনার দোকানের চুরির ঘটনায় ওই দলই যুক্ত ছিল। ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা এসিজেএম
আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের
পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘ভরতপুরে সোনার গয়নার দোকানে চুরির ঘটনায় জড়িত কয়েক
জন ধরা পড়েছে। গ্যাংয়ের বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ধৃতদের কাছ থেকে চুরি
যাওয়া অধিকাংশ গয়না উদ্ধার হয়েছে। আমরা শীঘ্রই তাদের হেফাজতে নেব।’’
গত বৃহস্পতিবার রাতে কান্দি-সালার
রাজ্য সড়কের পাশে ভরতপুর সাবপোস্ট অফিসের সামনে একটি সোনার দোকানে লুট করে
দুষ্কৃতীরা। ওই দোকান থেকে একটু দূরেই রয়েছে ভরতপুর থানা। দোকানমালিকের অভিযোগ, সব মিলিয়ে প্রায়
৬০ লক্ষ টাকার গয়না লুট হয়েছে। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া
থানার অগ্রদ্বীপ বাজারে একটি সোনার দোকানে শাটার ভেঙে লুটপাট চলে। তার পর থেকেই
পুলিশ অভিযুক্তদের তল্লাশি চালাচ্ছিল। কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি এবং আইসি
তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল তদন্তে শুরু করে। উঠে আসে উত্তরপ্রদেশের
‘গ্যাং’-এর কথা। পুলিশ
জানতে পারে, শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেশিয়া মাঠপাড়া এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া করে
উত্তরপ্রদেশের কয়েক জন রয়েছেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে।
ভিতরে গিয়ে পুলিশ দেখে, দুই মহিলা-সহ পাঁচ জন সেখানে রয়েছেন। লুটের ঘটনার সময়
সিসি ক্যামেরার যে ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে ওই মুখগুলির মিল থাকায় পুলিশ
তাঁদের গ্রেফতার করে। তার পর তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় সোনার গয়না। উদ্ধার হয়
আগ্নেয়াস্ত্রও।
এর মধ্যেই পুলিশ জানতে পারে ভরতপুর থেকে চুরি করে একটি দল কাটোয়ায় ফিরছে। দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে বাসে করে এসে জাজিগ্রামে নামে। সেখানে একটি দোকানে চা খাওয়ার সময় পুলিশ দু’জনকে ধরে ফেলে। দলের বাকি সদস্যেরা দৌড়ে পালান। ধৃত দু’জনের কাছ থেকে ভরতপুরের সোনার দোকানের গয়নার বাক্স উদ্ধার হয়েছে।