কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, হুগলি জেলাকে ওই কর্মসূচি পালনের
দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ হুগলির
আরামবাগ সফরে রয়েছেন। ওই কারণে হুগলি জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব ধর্মতলার ওই সভাস্থলে
আসতে পারেননি। তাঁদের বদলে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সোমবার ওই কর্মসূচি
পালন করেছেন। তাঁদের দায়িত্ব ছিল মঙ্গলবার ধর্না কর্মসূচি পরিচালনার। এমতাবস্থায় ধর্না
তুলে নেওয়া হচ্ছে সোমবারই।
তৃণমূলের এক নেতা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সফর যেমন একটা
কারণ, তেমনই বুধবার সরস্বতী পুজো রয়েছে। ওই সব কথা ভেবে ধর্না কর্মসূচি তুলে
নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বস্তুত, ১০০
দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বকেয়া টাকার দাবিতে মোদী সরকারের
বিরুদ্ধে ধর্না কর্মসূচি শুরু হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মুখ্যমন্ত্রী
তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা কলকাতার রেড রোডে বাবাসাহেব অম্বেডকরের মূর্তির সামনে
ধর্নায় বসেন। গত বছর মার্চ মাসেও ওই একই দাবি সামনে রেখে একই জায়গাতেই দু’দিনের ধর্না করেছিলেন মমতা।
অন্য দিকে, রবিবার তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ দেখা যায়। রেড রোডে ধর্নামঞ্চে উঠতে গিয়ে ‘গদ্দার’ স্লোগান শুনতে হয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে ঘিরে হাওড়া জেলা (সদর) তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ ‘গদ্দার হটাও, বাংলা বাঁচাও’ স্লোগান দেন। এই ঘটনার জেরে প্রকাশ্যেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। শেষমেশ হাওড়ার নেতাদের মঞ্চ এবং ধর্না চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।