দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট। চব্বিশে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিয়েছে তৃণমূল। যে জোটের শরিক কংগ্রেসও। কিন্তু বাংলায় দু'দলের সম্পর্ক এখন কার্যত তলানিতে। অধীর চৌধুরীদের সঙ্গে আসন সমঝোতার খারিজ করে দিয়েছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, 'বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। অল ইন্ডিয়ায় কী করব না করব আফটার ইলেকশন ভাবব'। এই যখন পরিস্থিতি, ঠিক তখনই বাংলার হয়ে মোদীকে চিঠি লিখলেন রাহুল গান্ধী।তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, 'প্রশ্নটা জোট বা ভোট নিয়ে নয়। প্রশ্নটা হচ্ছে যে মানুষরা ন্যায্য শ্রম দিয়েছে, তাঁরা টাকা পাবেন কি পাবেন না। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের টাকা অন্যয্যভাবে আটকে রেখেছে। তাদের টাকা ছেড়ে দেওয়া হোক, এই দাবি প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার তুলে আসছে। তাঁদের টাকা ছেড়ে দেওয়া হোক, এই দাবি প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার তুলে আসছে'।অরূপের আরও বক্তব্য, 'রাহুল গান্ধী সর্বভারতীয় একটি দলের নেতা। তাঁর উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই চিঠির মাধ্যমে এটা প্রমাণ হল, অধীর চৌধুরী ও প্রদেশ কংগ্রেস তাঁরা যে আসলে বিজেপির দালাল। রাহুল গান্ধী চিঠি লিখছেন বাংলার টাকা ফেরত দিয়ে দাও, আর তাঁর দলের নেতা অধীর চৌধুরী বলছে, বাংলার টাকা আটকে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করেছে। কারণ, বাংলা দুর্নীতিগ্রস্থ'!প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায়ের পাল্টা দাবি, 'ওনারা গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। জানেনও না বিষয়টা কী। আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার ছিল, যাঁদের ন্যায্য পাওনা, যাঁদের জবকার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিংক করা আছে, তাঁদের টাকা বিজেপি সরকার আটকে রেখেছে। এটা ঘোরতর অন্যায় করছে। টাকাটা ছেড়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু তৃণমূলের প্রতিনিধিদের তো বলা উচিত, গত ১২ বছরে চুরিটা কেন করেছে। আমরা তো বলছি, দুর্নীতির তদন্ত চলুক। পাশাপাশি ন্যায্য পাওনা, যাঁরা পায়, তাঁদের টাকাটা কেন্দ্র ছেড়ে দিক'।