সৌরভ চৌধুরী: কলাইকুন্ডা এয়ার ফোর্সের ফাইটার জেট থেকে ছোড়া বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আছড়ে পড়ল সাঁকরাইল ব্লকের চামটি ডাঙা গ্রামের চাষের জমিতে। চাষের জমির উপর দিয়ে যাওয়া ৩৩ হাজার ভোল্টের তার ছিড়ে পড়ে জমিতে। একটি মিনি সাবমার্সিবল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে কপাল ভালো কেউ হতাহত বা আহত হয়নাই। একাধিক বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরেছে বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীদের দাবি, প্রচন্ড আওয়াজ আার কম্পনে কেউ কেউ অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। পরে এয়ার ফোর্স এর একাধিক অফিসার ও জওয়ান ঘটনাস্থলে এসে পৌছান। গোটা এলাকা ঘিরে তদন্ত শুরু করেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটে আজ দুপুর তিনটে নাগাদ। বম্বিং প্রাকটিস করতে গিয়ে লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়ে যেখানে বোমাটি পড়ে সেখানে বিশাল গর্ত হয়ে গিয়েছে। ঘটনার পর ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি ক্ষতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেয় বায়ুসেনা।গ্রামের গৃহবধূ ছবিরানী দাস বলেন পৌনে তিনটে নাগাদ জেট থেকে ছোড়া বোমা মাঠে আছড়ে পড়ে। সেটি পড়ে একটি মিনি পাম্পের ঘরের উপরে। বোমার আঘাতে সেটি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এটা তো চাষের সময়, এখন যদি এভাবে ধান নষ্ট হয়ে য়ায় তাহলে কী হবে? যে জায়গায় বোমাটি পড়েছে সেখানে বিশাল গর্ত হয়ে গিয়েছে। গ্রামের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় লোহার টুকরো পড়েছে। অ্যাসবেস্টর ভেঙেছে। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। একটি মেয়ের চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এরকম যাতে না নয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এয়ারফোর্সের লোকজন এসেছে। ঘুরে দেখছে। কারও সঙ্গে কথা বলছে না।স্থানীয় যুবক শিবশঙ্কর দাস বলেন, বাড়িতে ছিলাম। হঠাত্ প্রবল আওয়াজ হয়। বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি সামনেই বোমা পড়েছে। একটি মিনি সাবমার্সিবল নষ্ট হয়েছে, চাষের জমি নষ্ট হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে গিয়েছে। বোমার একটি খোল আমাদের বাড়িতেও গিয়ে পড়ে। যে কোনও মুহূর্তে বড় ক্ষতি হতে পারত। এখন চাষের সময মাঠে কেউ থাকলে মৃত্যু হতে পারত। এই এলাকাতেই এর আগে অনেক এরকম ঘটনা ঘটেছে। একবার এক মহিলা গ্রামের পুকুরে স্নান করছিলেন। সেই সময় বোমা পড়ে। তাতে তার চোখ নষ্ট হয়ে যায়। আমরা চাই যার ফসলের ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ যেন দেয়। বারেবারে এরকম ঘটনা ঘটছে।