নৌপথে জুড়ে গেল বাংলার মুর্শিদাবাদ ও বাংলাদেশের রাজশাহী
২৪ ঘন্টা | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীর্ষ ৫৯ বছরে পর ফের এই য়োগোগ ব্যবস্থা স্থাপন হল। পরীক্ষামূলকভাবে বলা হলেও এই যোগয়োগ ব্যবস্থা দুদেশের মধ্য পরিবহণে নতুন গত আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সোমবার পদ্মা ও মহানন্দার মোহনায় সুলতানগঞ্জে ওই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুলজামান লিটন। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের মায়া বন্দরে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
১৯৬৫ সালের আগে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির মায়াবন্দর থেকে রাজশাহীর সুলতানগ়্জ পর্যন্ত জলপথে পণ্য পরিবহন হতো। কিন্তু ভারত-পাক যুদ্ধের জন্য ওই পণ্য পরিবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোমবার মায়া বন্দর থেকে পাথর রাজশাহীতে পাঠিয়ে ওই পরিষেবা ফের চালু করা হয়। অন্যদিকে, রাজশাহী থেকে আগে একটি পাট বোঝাই নৌকো। গরম কালে পদ্মার জল কমে গেলেও ওই ২০ কিলোমিটার পথে নৌ চলাচলে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।বাংলাদেশের নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, প্রথমদিনে মোট ৩১০টি ব্যাগে ১১,৭০০ কেজি গার্মেন্ট জুট কটন পাঠানো হয়েছে। এর আগে এর আগে সোনামসজিদ ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য ভারতে পাঠানো হতো। সময় কম লাগবে। মাত্র দেড় ঘণ্টায় সুলতানগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া নৌ-বন্দরে পৌঁচ্ছে যাবে। আশা করছি, এই নৌপথ আমাদের জন্য সহজ হবে।অন্যদিকে, এদিন উদ্বোধন উপলক্ষ্যে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ জলপথের আওতায় বাংলাদেশের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এই নদী বন্দর চালু হল। এই নৌপথ ফের চালু হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা অনেক। বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ-২ এর আওতায় ভারতের আসামে থেকে কলকাতা নদী বন্দরের মাধ্যমে আমরা ব্যবসা করে থাকি।শান্তনু ঠাকুর আরও বলেন, কিছুদিন আগেই পৃথিবীর দীর্ঘতম ক্রুজ শিপ গঙ্গা বিলাসের সফল ট্রায়াল চালিয়েছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের জন্য যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন তাতে ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ ১ এবং ২ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য বাংলাদেশের ভূমিকাও অনেক। আজ আমরা একটা পাথরের চালান দিয়ে পরীক্ষামূলক যাত্রার সূচনা করলাম। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সবাই উপকৃত হবে।