ত্রিবেণীর কুম্ভমেলা কম ঐতিহ্যবাহী নয়! ইতিহাস-পুরাণ ও বিদেশি নৃতত্ত্ববিদের চমকে দেওয়া সাক্ষ্য ...
২৪ ঘন্টা | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাঘ সংক্রান্তিতে ত্রিবেণী কুম্ভে শাহী স্নান। সকাল থেকে নাগা সন্ন্যাসীদের নগরকীর্তনে জমজমাট কুম্ভমেলা। হুগলি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় কুম্ভমেলায় গিয়ে গঙ্গাজল মাথায় ছিটিয়ে সাধুদের প্রণাম করে আশীর্বাদ নেন। লকেট বলেন, দেশের অন্যান্য জায়গায় কুম্ভে গিয়েছি, সেখানে ভালো ব্যবস্থা থাকে। এখানে অব্যবস্থার অভিযোগ আছে। আমরা সরকারে এলে সেই অসুবিধা দূর হবে।
দু'বছর আগে ত্রিবেণীতে কুম্ভমেলা শুরু হয় নতুন করে। মেলা পরিচালন সমিতির দাবি, ত্রিবেণীতে কয়েকশো বছর আগে কুম্ভমেলা বসত। বিদেশিদের আক্রমণে তা বন্ধ হয়ে যায়। তাই ফের তা শুরু করা হল। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে প্রশাসন জানিয়েছিল, এবার ত্রিবেণী কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হবে না। পরে তা কাটছাঁট করে শর্তসাপেক্ষে করার অনুমতি মেলে।কানাডার নৃতত্ত্ববিদ তথা ইতিহাসবিদ ও লেখক অ্যালান মরিনিস তাঁর একটি গবেষণাধর্মী কাজের সূত্রে প্রথম এই তথ্য জোরের সঙ্গে প্রকাশ করেন যে, কয়েকশো বছর আগে ত্রিবেণীতে হত কুম্ভমেলা তথা কুম্ভ মহোৎসব। এ ছাড়াও অবশ্য পুরাণেও ত্রিবেণীর নাম পাওয়া গিয়েছে। ইতিহাস বলেছে, সপ্তগ্রাম বাণিজ্যবন্দর থাকাকালীন এই জায়গার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। পরবর্তী সময়ে বিদেশি আক্রমণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে ধর্মীয় সম্মেলন স্নান ধর্মাচরণ অনুষ্ঠিত হতে সমস্যা হয়। তবে বরাবরই মাঘ সংক্রান্তিতে বহু মানুষ ত্রিবেণীতে স্নান করে আসছেন। পরে সেই সূত্র ধরেই ত্রিবেণী অনুকুম্ভের জন্ম হয়। শুধু কুম্ভমেলাই নয়, আগামী দিনে ত্রিবেণীকে হেরিটেজ ঘোষণার জন্য আবেদন জানিয়েছে এই মেলা কমিটি। গঙ্গার ঘাটগুলিকে সংস্কার করে উজ্জয়িনী নগরীর মডেলে এখানে এক ধর্মনগরী তৈরি করুক কেন্দ্র, এমনই আশা ও দাবি তাদের।