• 'পুলিসের উচিত শুভেন্দুকে গাছে বেঁধে সাগরদ্বীপে ফেলে আসা'
    ২৪ ঘন্টা | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • কিরণ মান্না: সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য। সেই সন্দেশখালি নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্যের পালটা মন্তব্য করেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'শুভেন্দুকে উচিত গাছে বেঁধে রাখা,আর বাঁধা অবস্থায় ওকে নিয়ে গিয়ে সাগরদ্বীপে পুলিস ফেলে আসে'। সোমবার তমলুকের নিমতৌড়িতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রসাথী প্রকল্প চালু করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভার আয়োজন করা হয়। সেখানেই সন্দেশখালি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনই মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ। 

    পাশাপাশি  তিনি বলেন, 'সন্দেশখালি শান্ত রয়েছে। কিছু রাজনৈতিক নেতারা এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। ঘটনায় যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করছে পুলিস।' পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সাংবাদিক বৈঠকের প্রসঙ্গে  বলেন, আজ সন্দেশখলি নিয়ে বলছেন মনিপুর-সহ অন্যান্য রাজ্যের ঘটনা নিয়ে কিছু তো বলেননি। রাজ্য বাজেটে সমুদ্রসাথী প্রকল্পে মৎস্যজীবীদের ব্যান্ড পিরিয়ডের দু-মাস ৫ হাজার করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা করে সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা ও তমলুকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভার আয়োজন করা হয়।তমলুকে কুণাল ঘোষের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অসীত বন্দ্যোপাধ্যায়, চেয়ারম্যান চিত্ত মাইতি, তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় -সহ অন্যান্যরা। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে সেখানে শান্তি ফেরাতে হবে এবং রাজ্যপালকে আরও তৎপর হতে হবে বলেন শুভেন্দু। তিনি রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টা সময়ও দেন। শুভেন্দু জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যপাল ব্যবস্থা না নিলে সোমবার বিজেপি বিধায়করা ১৪৪ ধারা ভেঙে সন্দেশখালিতে যাবেন। এমনকী রাজ্যপাল ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা রাজভবন ঘেরাও করে বসে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)