শ্রীকান্ত ঠাকুর: বাঙালির ভ্যালেন্টাইন তথা সরস্বতীপুজো এবং ইংরেজি ভ্যালেন্টাইন'স ডে আগের-আগের কয়েকবারের মতো এ বছরও একই দিনে পড়েছে। আর এই দুটি উপলক্ষের মধ্যে কমন হল ফুল। ফুল পুজোয় লাগে, সম্পর্কের উষ্ণতায় লাগে। ফলে এই জোড়া চাহিদার ফলায় এবার ফুলের বাজারে আগুন লেগেছে বালুরঘাট-সহ দক্ষিণ দিনাজপুরে।
এবার সাধারণ গাঁদা ফুল হোক বা গোলাপ-- সবই নাগাল ছাড়িয়েছে মধ্যবিত্ত এবং পুজো উদ্যোক্তাদের। এমনকি পকেট ফাঁকা হচ্ছে প্রেমিক-প্রেমিকার! ফুলের জোগান দিতেও হিমসিম ব্যবসায়ীরা। ফুল জোগাড় করতে কলকাতা রানাঘাট মেদিনীপুর পর্যন্ত ছুটতে হচ্ছে ফুল ব্যবসায়ীদের। বালুরঘাট শহরের ফুলবাজারে এখন যা পরিস্থিতি, তাতে আগামীকাল হয়তো টাকা দিলেও মনের মতো ফুল মিলবে না। তাই এবার একদিন আগে থাকতেই বাজারমুখী বাঙালি। যাঁরা সরস্বতীপুজো করছেন তাঁরাও আবার যাঁরা উদগ্রীব হয়ে আছেন ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন করবেন বলে তাঁরাও।১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন'স ডে। আর এ বছর ওই দিনেই সরস্বতী পুজো। দুই ক্ষেত্রেই ফুলের চাহিদা তুঙ্গে। বিদ্যাদেবীর আরাধনার জন্য ফুল তো আসছেই বাজারে, পাশাপাশি ফুল আসছে ভ্যালেন্টাইন'স ডে উপলক্ষেও। ভ্যালেন্টাইন'স ডে-তে একে অপরকে মূলত গোলাপ কখনও অন্য রঙিন ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর ফলে ওই দিন ফুলের বাজার এমনিতেই তুঙ্গে থাকে। এবারও আছে। এবং অন্য বছরের চেয়ে অনেকটাই বেশি। এদিন বেশি চাহিদা থাকে গোলাপ ফুলের। সাধারণ সময়ে যখন একটি গোলাপ ফুলের দাম থাকে ১০ থেকে ১২ টাকার মতো, ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই ফুলেরই দাম দাঁড়ায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি পিস! লাল ছাড়া অন্য রঙের গোলাপ ফুলের চাহিদা এবং দাম দুইই আরও বেশি। লাল গোলাপের দাম বালুরঘাটের বাজারে আজ, মঙ্গলবার ৬০ টাকা অতিক্রম করেছে! ছোট ফুলগুলির দাম ৩০ টাকা প্রতি পিস। এবার গাঁদা ফুল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যা অন্যান্য বারের তুলনায় একটু বেশিই। ফুল ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে এই সমস্ত ফুল আনার জন্য তাঁদের কখনো রানাঘাট কখনো কলকাতা কখনো মেদিনীপুরের বাজারে লোক পাঠাতে হচ্ছে। বেঙ্গালুরু থেকেও কিছু ফুল বালুরঘাটের বাজারে এসেছে। এবং সেগুলি অবশ্যই গোলাপ ফুল, যার এক-একটির দাম ৬০ টাকা কম নয়! ফুল ব্যবসায়ী পঙ্কজ মহন্তের দাবি, প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি যেমন ফুলের চাহিদা থাকে তেমন বসন্ত পঞ্চমী বা সরস্বতী পুজোর দিনেও গোলাপ ফুলের চাহিদা থাকে। স্বাভাবিক কারণে এবার বাজার ভালো এবং দুদিন আগে থেকেই ফুল বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। দুদিন আগে থেকেই বালুরঘাট শহরে ফুলের চাহিদা তুঙ্গে।