• সন্দেশখালিতে রবিবার সভা তৃণমূলের, ফেরত দেওয়া হবে গায়ের জোরে দখল করা ভেড়ি ...
    আজকাল | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সন্দেশখালিতে জনসভা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার এই জনসভা হবে। এলাকার মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে যেখানে আগুন লাগানো হয়েছিল সেই এলাকাতেই এই জনসভা করা হবে। মঙ্গলবার এই জনসভা সম্পর্কে অশোকনগরের বিধায়ক এবং উত্তর ২৪ পরগণার জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, জনসভায় একাধিক মন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন জেলা নেতৃবৃন্দ। এর পাশাপাশি সাসপেন্ড হওয়া স্থানীয় তৃণমূল নেতা উত্তম সরদারের বিষয়ে যথেষ্টই কঠিন অবস্থান নিয়েছে তৃণমূল। উত্তম সরদারের গায়ের জোরে দখল করা ভেড়ি আসল মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে গিয়ে স্থানীয় মানুষদের একথা জানাল রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, "আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে উত্তম কিছু লোকের ভেড়ি গায়ের জোরে দখল করে নিয়েছিল। আবার সেই লোকেরা যখন তাঁদের দাবি তুলেছেন তখন তাঁদেরকে বলা হয়েছে কাগজ নিয়ে আসতে। কিন্তু অভিযোগ, উত্তম নাকি প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের কাগজ বের করতে দেয়নি। আমরা সমস্ত অভিযোগকারীকে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদে আসতে বলেছি। আমরাই তাঁদেরকে নিয়ে আসব এবং দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করব। যে বা যারা তাঁদের দাবির স্বপক্ষে কাগজ দেখাতে পারবেন তাঁদেরকে সেইদিনই ভেড়ির পাট্টার আইনগত রেকর্ড করে তার কাগজ দেওয়া হবে।"  এর পাশাপাশি উত্তম যাঁদের থেকে গায়ের জোরে জমি কেড়ে নিয়েছে তাঁদের প্রাপ্য টাকাও উত্তমের থেকেই আদায় করা হবে বলে প্রতিনিধি দলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পাত্রপাড়া থেকে। বিষয়টি দেখার জন্য তিন সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যেখানে রাখা হয়েছে স্থানীয় তৃণমূলের মহেশ্বর সরদার, অষ্টমী সরদার ও গণেশ শীলকে। এঁরা বঞ্চিতদের সঙ্গে কথা বলে তালিকা তৈরি করবেন এবং দলের পক্ষ থেকে উত্তমের পরিবারের সঙ্গে টাকার বিষয়ে কথা বলা হবে। এদিন কালিনগর কলেজ ক্যাম্পাসের মাঠে একটি কর্মীসভা করে তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দলটি। এই দলে নারায়ণ ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাতো-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভায় উপস্থিত স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয় নতুন করে আর যেন কোনওভাবেই দলের মুখ না পোড়ে। নারায়ণ জানিয়েছেন, "পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মমতা ব্যানার্জির নাম করে দলের যে পতাকাটা তোলা হয় সেই পতাকার লাঠি কিন্তু লোকের পিঠে মারার জন্য নয়। মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য। এর যদি অন্যথা হয় তবে যে যত বড় নেতা বা প্রশাসনিক পদে থাকুন না কেন, দল কিন্তু কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না।"
  • Link to this news (আজকাল)