• সাড়ম্বরে সম্পন্ন হল ত্রিবেনী কুম্ভে শাহী স্নান
    আজকাল | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: মঙ্গলবার সকাল থেকেই দূর দূরান্ত থেকে আসা নাগা সন্ন্যাসীদের নগর কীর্তনে জমজমাট হয়ে ওঠে কুম্ভ মেলা চত্বর। গত দু বছর আগে নতুন করে ত্রিবেনীতে কুম্ভমেলা শুরু হয়। ওঙ্কার নাথ মিশনের তত্ত্বাবধানে এবং ত্রিবেণী কুম্ভ পরিচালনা সমিতির উদ্যোগে এই দুদিনের অণু-কুম্ভ স্নান মহোৎসব চলে হুগলির ত্রিবেণীতে। ঘাট সংলগ্ন রামাজ্ঞা মন্দিরে কইরা হয় সাধুদের থাকার ব্যবস্থা। উপস্থিত ছিলেন কাশীর শঙ্করাচার্য, কুম্ভের অধ্যক্ষ কিঙ্কর বিঠঠল রামানুজ মহারাজ, গঙ্গোত্রী ধামের প্রধান শিব প্রকাশ রাওয়াল, ওঙ্কার নাথ মিশনের সভাপতি প্রিয়নাথ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। অখিল ভারত জয় গুরু সম্প্রদায়-এর উদ্যোগে কুম্ভ মেলা আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলা পরিচালন সমিতির দাবি, ত্রিবেনী সঙ্গমে কয়েক শো বছর আগে কুম্ভ মেলা বসত। পরবর্তী সময়ে বিদেশী আক্রমণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রশাসন জানিয়েছিল ত্রিবেনী কুম্ভমেলা হবে না। পরে অনুষ্ঠান সূচি কাটছাঁট করে শর্ত সাপেক্ষে মেলার অনুমতি মিলেছে। কানাডিয়ান লেখক ইতিহাসবিদ এলান মরিনিসের একটি বই থেকে ত্রিবেনী কুম্ভের কথা প্রথম জানা যায়। এছাড়াও পুরানে ত্রিবেনীর নাম পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে সপ্তগ্রাম বানিজ্য বন্দর থাকাকালীন এই স্থানের জনপ্রিয়তা বাড়ার ইতিহাস। যদিও পরবর্তীকালে ক্রমাগত বিদেশি আক্রমণে এর মাহাত্ম্য কমে যায়। কিন্তু মাঘ সংক্রান্তিতে বহু মানুষ ত্রিবেনীতে স্নান করেন। সেই সূত্র ধরে ত্রিবেনীতে অনু কুম্ভের জন্ম হয়েছে। শুধু কুম্ভ মেলাই নয় মেলা কমিটির তরফে আগামী দিনে ত্রিবেনীকে হেরিটেজ ঘোষনার আবেদন জানানো হয়েছে। তাঁরা চান, কেন্দ্র সরকারের উদ্যোগে গঙ্গার ঘাটগুলোকে সংস্কার করে উজ্জয়িনী নগরীর মডেলে ধর্ম নগরী তৈরি করা হোক।ছবি: পার্থ রাহা
  • Link to this news (আজকাল)