মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: 'আমরা দেখিয়ে দেব সেদিন'। সন্দেশখালিতে এবার জনসভা করবে তৃণমূল। কবে? ১৮ ফেব্রুয়ারি, রবিবার। 'সন্দেশখালির মা-বোনেদের দিয়ে বলিয়ে দেব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে এ রাজ্যে মা-বোনেদের অসম্মান হয় না। এটা উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট নয়', বললেন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।
সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল বঙ্গরাজনীতি। পথে নেমেছে বিরোধীরা। আজ, মঙ্গলবার বিজেপি আইন অমান্য কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বসিরহাট। পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বিক্ষোভকারীদের। চলে ইটবৃষ্টি! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল।চুপ করে বসে নেই তৃণমূলও। এদিন সন্দেশখালিতে পৌঁছল রাজ্যের শাসকদলের দুই প্রতিনিধি। উত্তর ২৪ পরগনার জেলায় বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ও নারায়ণ গোস্বামী। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের নৈহাটির বিধায়ক পার্থের বার্তা, 'খেলা হবে, এটা খালি মনে রাখতে হবে। যাঁরা ভাবছেন টিভিতে একবার মুখ দেখালেই এলাকা দখল হয়ে যাবে, তাঁরা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। সন্দেশখালিতে গ্রামে যাঁরা আছেন আর অঞ্চল সভাপতিদের সঙ্গে এলাকার করে কথা বলব'।তৃণমূল বিধায়কের ঘোষণা, 'আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই সন্দেশখালি অঞ্চলেই আমাদের সভা হবে ১১টায়। আমরা ছাড়াও থাকবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, তাপস রায়'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, আমরা সেদিন দেখিয়ে দেব। ১৮ তারিখ আমাদের দেখিয়ে দেওয়ার দিন। আমরা সন্দেশখালির মাটিতে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালির মা-বোনেদের দিয়ে বলিয়ে দেব, , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে এ রাজ্যে মা-বোনেদের অসম্মান হয় না। এটা উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট নয়। যাঁরা মা-বোনেদের অসম্মান করবেন, তাঁদের তৃণমূলে কোনও জায়গা নেই। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। এখানে মা-বোনেদের অসম্মান হয় না'।এদিকে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তে পর্যবেক্ষণ, 'নির্দিষ্ট দুটি বা তিনটি জায়গা হলে বুঝতাম। তা বলে গোটা সন্দেশখালি এলাকা জুড়ে টেনশন রয়েছে। তাই ১৪৪ ধারা! এটাকে গুরুত্ব দেব না! এরপরে বলবেন গোটা কলকাতা জুড়ে টেনশন। তাই ১৪৪ ধারা জারি গোটা শহরে'!